প্রাক্তন এসপিজিকে নিয়ে এবার রাহুল গান্ধী ও মোদি সরকারের চাপানউতোর শুরু হল। প্রাক্তন এসপিজি চাপে পড়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন যে, আরএসএসের পছন্দমতো আধিকারিকদের একটি তালিকা গ্রহণ করেননি বলে, প্রাক্তন এসপিজি-কে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। রাহুল গান্ধীর সেই বক্তব্যের এবার জবাব দিতে আসরে নামল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাহুল গান্ধীর এহেন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এদিন এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, রাহুল গান্ধী সংবাদমাধ্যমে যে মন্তব্য করেছেন এ নিয়ে তা ভিত্তিহীন। রাহুলের বক্তব্যে অসত্য তথ্য রয়েছে বলেও মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকেন এসপিজি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, রাফালে চুক্তি: রাহুলের সঙ্গে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্টের যোগসাজশের অভিযোগ জেটলির
গত শনিবার সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন যে, প্রাক্তন এসপিজি বিবেক শ্রীবাস্তবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। প্রাক্তন এসপিজি তাঁকে বলেছেন যে, আরএসএসের ঠিক করে দেওয়া এসপিজি আধিকারিকদের তালিকা প্রত্যাখান করায় বিবেককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রাক্তন এসপিজি বিবেক শ্রীবাস্তবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে এসপিজি-র প্রাক্তন প্রধান বিবেক শ্রীবাস্তব এ নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি বলেই বিবেক মন্ত্রককে জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গত শনিবার রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘যখন মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন গুজরাত থেকে এক ব্যক্তিতে এসপিজি প্রধান করা হয়। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই তিনি পদত্যাগ করেন। পরে তিনি আমায় জানান যে, আরএসেএসের পছন্দমতো এসপিজি আধিকারিকদের তালিকা তিনি গ্রহণ না করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’