Advertisment

'বিজেপির ধর্মান্ধতায় খণ্ডিত' ভারত, জাতীয় পতাকার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝাতে পদযাত্রায় রাহুল অ্যান্ড কোং

মিছিল ৩,৫০০ কিমি দীর্ঘ পথ প্রায় ১৫০ দিনে অতিক্রম করবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rahul gandhi

'ভারত জোড়ো যাত্রার’ মাঝেই, অঙ্কিতা হত্যা নিয়ে সরব হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার কন্যাকুমারী থেকে দলের ৩,৫৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ "ভারত জোড় যাত্রা" শুরু করলেন। কর্মসূচির উদ্বোধনে রাহুল জানান, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় দেশকে একত্রিত করার প্রয়োজন অনুভব করেছেন। তাই কংগ্রেস এই কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ মনে করেন যে এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার যা ভারতকে একত্রিত করবে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই আরএসএস এবং বিজেপির আক্রমণের মুখে। তারা মনে করে, ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে ভাগ করতে পারে।” কন্যাকুমারীতে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় একথা বলেন রাহুল।

Advertisment

তিনি বলেন, “তিরঙ্গা শুধু তিন রঙের এবং এক টুকরো কাপড়ে একটি চক্র মাত্র নয়। এটা তার চেয়ে অনেক বেশি। তিরঙ্গা ভারতের সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির লোকদের আন্দোলনের দ্বারা অর্জিত হয়েছিল। আমাদের তিরঙ্গা পছন্দসই যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকারের স্বাধীনতা দেয়। কিন্তু, আজ এই পতাকা আক্রমণের মুখে পড়েছে।” দলের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই জানিয়েছেন, এই মিছিল ১২টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘুরবে। এটি প্রায় ৩,৫০০ কিমি দীর্ঘ পথ প্রায় ১৫০ দিনে অতিক্রম করবে।

এর আগের দিন, রাহুল গান্ধী চেন্নাইয়ের কাছে শ্রীপেরামবুদুর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৯১ সালে তাঁর বাবা রাজীব গান্ধীকে এই স্থানেই হত্যা করা হয়েছিল। এই 'ভারত জোড় যাত্রা'কে এই শতাব্দীতে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমাবেশ এবং মিছিল হিসেবে কংগ্রেস গ্রহণ করেছে। 'ভারত জোড় যাত্রা'য় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কংগ্রেস গত সপ্তাহে বলেছে যে এই মিছিল আর সমাবেশের উদ্দেশ্য হল, "ভয়, ধর্মান্ধতা এবং কুসংস্কারের রাজনীতি" এবং জীবিকা ধ্বংসের অর্থনীতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তার বিকল্পের খোঁজ করা।

আরও পড়ুন- তাইওয়ান এফেক্ট! যৌথ সামরিক মহড়ার পর বৈঠকের পথে রাশিয়া-চিনের প্রেসিডেন্ট

এই পদযাত্রা (পদযাত্রা) ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারীতে শুরু হল এবং জম্মুতে শেষ হবে। তামিলনাড়ুতে এর কর্মসূচি ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, চার দিন চলবে। পরের দিন থেকে, কর্মসূচি প্রতিবেশী কেরল থেকে চলবে। এই মিছিল কর্ণাটকে ২১ দিন ধরে ৫১১ কিলোমিটার অতিক্রম করবে। কর্ণাটক কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ডিকে শিবকুমার সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন।

শিবকুমার বলেন, “আমাদের রাজ্যের ৫১১ কিলোমিটারের মধ্যে কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে বনাঞ্চল রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ওইসব অঞ্চলে মিছিলের সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি। এই মিছিল রাজ্যে ২১ দিন ধরে আটটি জেলাজুড়ে চলবে। আমাদের সমস্ত নেতা ও কর্মী এই মিছিলে অংশ নেবেন।” তিনি আরও জানান, প্রতিদিন কত দূরত্ব মিছিল অতিক্রম করবে, তা স্থানীয় পরিস্থিতি দেখে এবং স্থানীয় নেতৃত্ব এলাকা পরিদর্শনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।

Read full story in English

CONGRESS rahul gandhi Road Show
Advertisment