আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী 'ভারত জোড় যাত্রা' শুরু। তার প্রস্তুতিতে রবিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরএসএস-বিজেপিকে হঠাতে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন। তিনি জানান, সরাসরি জনগণের কাছে যাওয়া ছাড়া কংগ্রেসের সামনে এখন কোনও বিকল্প নেই। কারণ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রেখেছে। দুই শিল্পপতির মাধ্যমে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ক্রমাগত আক্রমণ ও চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
রাজধানীর রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের 'মেহঙ্গাই পর হাল্লা বোল' সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, রাহুল তাঁর আগের বক্তৃতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি বিজেপি সরকারকে "ঘৃণা, ক্রোধ এবং ভয়" ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রের শাসক দল "দুই শিল্পপতি"-কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে চলেছে। বিরোধীদের দমাতে সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের মত এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করে চলেছে। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো তাদেরই টার্গেট করছে।
আরও পড়ুন- নৌ সেনার নতুন প্রতীক আক্ষরিক অর্থেই ভারতীয়ত্বের ধ্বজাধারী, কী তার বিশেষত্ব?
আর, এসব রুখতেই কংগ্রেস অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে। বিরোধীদের আহ্বান জানিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, "আমরা একসঙ্গে বিজেপি এবং আরএসএসের আদর্শকে পরাজিত করব। সরকার আমাদের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের জন্য সংসদের পথও অবরুদ্ধ। কংগ্রেস দল এবং বিরোধীরা সংসদে কথা বলতে পারেন না। আমাদের মাইক্রোফোন বন্ধ আছে। আমরা কোনও বিষয়ে কথা বলতে পারি না। তা সে চাইনিজ হামলাই হোক, বেকারত্বই হোক বা মূল্যবৃদ্ধিই হোক।''
রাহুল বলেন, ''আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো, তা সে মিডিয়াই হোক অথবা নির্বাচন কমিশন বা বিচার বিভাগ- লাগাতার আক্রমণ ও চাপের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং, আমাদের জন্য সমস্ত পথ বন্ধ। এই অবস্থায় আমাদের সামনে একটাই পথ খোলা। আর, আমরা সেই পথটিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। সেই পথ হল সরাসরি জনগণের কাছে যান। দেশের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে তাঁদের জানান।''
Read full story in English