Advertisment

‘দরকারে পাওয়া যায় না’, মোদীর সঙ্গে ভেন্টিলেটরের মিল টেনে খোঁচা রাহুলের

সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রথমত, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, নিজেদের কাজ করে না। তৃতীয়ত, যখন প্রয়োজন, তখন খুঁজে পাওয়া যায় না’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
‘Event over’, Rahul Gandhi takes dig at govt over record Covid vaccinations

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভেন্টিলেটরের মিল রয়েছে। দরকারে পাওয়া যায় না। ফের এভাবেই তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী।যত দিন যাচ্ছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন-সহ চিকিৎসার নানা সর়ঞ্জামের ঘাটতি দেশ জুড়ে প্রকট হচ্ছে। অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রের সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। এদিনও সেই পথে হাঁটলেন কংগ্রেস সাংসদ।

Advertisment

সোমবার সকালে ১১টা নাগাদ টুইটারে একটি পোস্ট করেন রাহুল। সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রথমত, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, নিজেদের কাজ করে না। তৃতীয়ত, যখন প্রয়োজন, তখন খুঁজে পাওয়া যায় না’।

সম্প্রতি পিএম কেয়ার্স তহবিলের অর্থে কেনা ভেন্টিলেটর বেশ কয়েকটি রাজ্যে পাঠায় কেন্দ্র। তার পরই সেই রাজ্য থেকে অভিযোগ আসে, খারাপ ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে কেন্দ্র। পঞ্জাবের ফরিদকোটের গুরুগোবিন্দ সিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল জানিয়েছেন, পাঠানো ভেন্টিলেটরে গলদ থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ওই হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় কাজ করছে না ভেন্টিলেটরগুলি।

সম্প্রতি সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, কেন্দ্রের পাঠানো ভেন্টিলেটরের ‘সদ্ব্যবহার’ করুক রাজ্য। পাশাপাশি তার হিসেবনিকেশও করা হোক। কিন্তু পিএম কেয়ার্সের টাকার ‘অডিট’ করা সিএজি-এর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না, কেন্দ্র নিজেই তা জানিয়েছে। ফলত, হিসেবনিকেশ কে করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজের সমন্বয়কারী বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গ্রুপ ছাড়লেন শাহিদ জামিল। তিনি ইন্ডিয়ান সারস কোভ-২ জেনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) এর প্রধানের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।

সারস কোভ-২ এবং এর একাধিক ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য বৈজ্ঞানিক সংস্থা হিসাবে চলতি বছর জানুয়ারিতে INSACOG প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এই কনসোর্টিয়ামটি সারা দেশ থেকে ভাইরাস নমুনার জিন সিকোয়েন্সিং পরিচালনার জন্য দশটি শীর্ষস্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। কনসোর্টিয়ামটিকে প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল, তবে পরে সেই সময় আরও বৃদ্ধি করা হয়। যদিও বলা হয়েছে যে এই কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। তবে পরবর্তীতে সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে, এমনটাই দাবি করা হয়।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অতিমারি প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী শহিদ জামিল কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে রয়েছে করোনা রুখতে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কথাও। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলিতে নিজের কথা বলতে গিয়ে ভাইরাসটির বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

PM-Cares rahul gandhi
Advertisment