মুখে বিরোধী ঐক্যের কথা বললেও লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে লাগাতার সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। প্রথমে দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ সুর চড়িয়েছিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়। বোঝাতে চেয়েছিলেন, বিরোধী রাজনীতির দায়িত্ব কংগ্রেসই বোঝে। তারপর সুর চড়িয়েছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য অসম্ভব।
আর, এবার মুখ খুললেন দলে গান্ধী পরিবারের অন্যতম প্রতিনিধি রাহুল গান্ধী। দেশের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বুধবার সুর চড়ালেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, 'গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। মেঘালয়ের ক্ষেত্রেও তার একই লক্ষ্য।' তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, বিজেপি আসলে 'ক্লাসরুমের বুলি'। ঠিক আরএসএসের মতই। যারা নিজেদের মতাদর্শ গোটা দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে ভারতের ধর্মকে ধ্বংস করছে। সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। আর, ভাষাগত বৈচিত্র্যকে নষ্ট করছে। রাহুলের অভিযোগ, এই সব কাজে বিজেপিকে সাহায্য করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল এই সব অভিযোগ করেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেঘালয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। সেই সময় একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেত কংগ্রেস। তারপর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র সঙ্গে তাদের বিরোধ শুরু হয়। অবশেষে ২০২১ সালে মেঘালয়ে কংগ্রেসের শেষ মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা একডজন বিধায়ক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
আরও পড়ুন- ফের বড় ধাক্কার মুখে উদ্ধব, বিজয়ীর হাসি শিণ্ডের
সেই অতীত মাথায় রেখেই সভায় রাহুলের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে যেন পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। তিনি বলেন, 'আপনারা তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। আপনারা জানেন, বাংলায় কী পরিমাণ হিংসা হয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারির মত কত কেলেঙ্কারি হয়েছে, আপনারা জানেন। আপনারা তাদের ঐতিহ্যের কথা জানেন। তারা গোয়ায় এসেছিল। গোয়ায় প্রচুর অর্থ খরচ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করা। ঠিক সেই একই পরিকল্পনা তারা মেঘালয়ে খাটাচ্ছে। তৃণমূলের পরিকল্পনা যে তারা মেঘালয়ে বিজেপিকে শক্তিশালী করবে তাকে ক্ষমতায় আনবে।'