ইডি অভিযান, জেলে যাওয়ার ভয় আমি পাই না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইডি'….. এমনই দাবি করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ইডি থেকে আয়কর অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে অভিহিত করে এদিন মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বাঘেল অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ছত্তিশগড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বরং তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তিনি বলেন, 'ইডির এই বেআইনি পদক্ষেপ বন্ধ করার দায়িত্ব আদালতেরই'।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ইডি এবং আয়কর অভিযানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে অভিহিত করেছেন। ভোট ময়দানে বিজেপির খারাপ অবস্থা দেখে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অযথা ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূপেশ বাঘেল।
তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, 'কোন হুমকি বা অভিযানে আমরা ভয় পাচ্ছি না। এমনকী আমি জেলে যেতেও ভয় পাই না। বাঘেল অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি প্রার্থীরা ছত্তিশগড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, বরং তদন্তকারী সংস্থাগুলি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমন অবস্থায় এটা বন্ধ করার দায়িত্ব আদালতেরই পালন করা উচিত। তিনি বলেন ছত্তিশগড়ে ২০০ টিরও বেশি ইডি অভিযান চালানো হয়েছে, তবে কিছুই পাওয়া যায়নি। এখন তারা প্রয়োজনীয় ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাদের লোকজন, নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের বাড়ি-অফিসে অভিযান চালাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিনোদ ভার্মা বিরুদ্ধে ইডি-র অভিযানকে লুট এবং ডাকাতি বলে অভিহিত করেছেন বাঘেল। কংগ্রেস সদর সাংবাদিক সম্মেলনে ভার্মা বলেছিলেন যে ইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন 'সমস্ত গহনার বিল থাকার পরও সেগুলি অবৈধ ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে'। তিনি আরও বলেন,'যারা কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে কাজ করছেন তাদের টার্গেট করা হচ্ছে'। ভার্মা মোদী ও শাহকে স্বৈরশাসক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে মোদী-শাহ ছত্তিশগড়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ইডি-আয়করকে কাজে লাগাচ্ছে। যারা কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে কাজ করছেন তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। ভার্মা বলেন, গত নির্বাচনেও জাল সিডির মামলায় আমাকে ৬২ দিন জেলবন্দী করা হয়'।