Advertisment

'গঙ্গার পাড় ভাঙন সমস্যা বহুবার উত্থাপন করেছি... লাভ হয়নি', দাবি তৃণমূল সাংসদের

গঙ্গার পাড় ভাঙন। বাংলার গত কয়েক দশকের অন্যতম বড় সমস্যা।প্রতিবছরই কয়েক হাজার মানুষ ভিটে-মাটি ছাড়া হন। কিন্তু, হেলদোল থাকে না সরকারের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
erosion in Bengal tmc mausam noor

পার ভাঙন বঙ্গের বড় সমস্যা।

গঙ্গার পাড় ভাঙন। বাংলার গত কয়েক দশকের অন্যতম বড় সমস্যা। বছরের পর বছর কেটে যায়। প্রতিবছরই পার ভাঙনের ফলে কয়েক হাজার মানুষ ভিটে-মাটি ছাড়া হন। কিন্তু, হেলদোল থাকে না সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছেন। তবে, অবস্থার বদল হয়নি। নীরব ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ও জলসম্পদ মন্ত্রকও। বাংলায় গঙ্গার পাড় ভাঙন সমস্যার সমাধানের বিষয়টি চলতি বাজেট অধিবেশনের জিরো আওয়ারে রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। এই প্রসঙ্গেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সৌরভ রায় বর্মন।

Advertisment

গঙ্গার পার ভাঙন সত্যিই কত বড় সমস্যা?

মালদহে পার ভাঙন অন্যতম বৃহৎ সমস্যা, বিশেষ করে জেলার যে অংশ দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে। কয়েক দশক ধরে এই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানুষ দিশাহারা, জলসম্পদমন্ত্রকের কাছে সমাধানমূলক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে তাঁরা ক্লান্ত। বর্ষাকালে, এই অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ঘরবাড়ি, খামার এবং বাগান সব তলিয়ে যায়।

এই সমস্যার বিষয়টিকে আগে তুলে ধরা হয়েছিল?

সংসদের ভিতর, বাইরে একাধিকবার গঙ্গার পাড় ভাঙনের সমস্যা তুলে ধরেছি। লোকসভার সাংসদ থাকালীনও আমি এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলাম। আমি জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ফারাক্কা ব্যারেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। সমস্যাকবলিত ওইসব এলাকা ফারাক্কা ব্যারেজের আওতাধীন। কিন্তু কোন উপকার হয়নি।

পার ভাঙন ও বন্যায় এখনও পর্যন্ত কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন?

সংখ্যাটা কয়ে লক্ষ হবে। দুস্থ লোকেরাই এই সমস্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, কারণ অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকায় (যেসবজায়গায় বন্যার জল ঢোকে ও পাড় ভাঙনে ভেসে গিয়েছে) তাঁরাই থাকেন। মূলত চার থেকে পাঁচটি ব্লক প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক বছর আগে ওই এলাকার এক প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বাড়িও তলিয়ে গিয়েছিল।

রাজ্য সরকার কী করছে?

এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার খুবই কম। ওইসব এলাকা সরাসরি ফারাক্কা ব্যারেজের আওতাধীন, যেটি আবার জলসম্পদ মন্ত্রকের অধীন। কিন্তু ত্রাণ প্রদানের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব রাজ্য প্রশাসন করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বিষয়টি তুলে ধরেন এবং স্থায়ী সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন।

সমাধান কী হতে পারে?

আমি মনে করি, বাঁধ দিয়েই স্থায়ী সমাধান সম্ভব। কারণ বাঁধ মহানন্দার বন্যা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে, যা ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।

Read in English

Murshidabad West Bengal tmc Malda Rivererosion
Advertisment