বেশি দরে বিধায়ক কেনা-বেচার চেষ্টার অভিযোগ আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এবার নিজের শিবিরের বিধায়কদের রাজধানী জয়পুরের হোটেল থেকে জয়সলমেরের রিসর্টে পাঠালেন পোড় খাওয়া গেহলট। আগামী ১৪ই অগাস্ট পর্যন্ত এই বিধায়কদের রিসর্টেই থাকতে বলা হয়েছে।
বহু টালবাহানার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন ডাকার অনুমতি দিয়েছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। আগামী ২৪ অগাস্ট থেকে বলবে অধিবেশন। দেরিতে হলেও অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তবে, সেই সঙ্গেই অধিবেশন ডাকতে দেরি করায় কটাক্ষও তিনি। 'ঘোড়া কেনা-বেচা'র জন্য অযথা এই দেরি বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, সুর চড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, 'অধিবেশন ডাকার দিন ঘোষণা হতেই বিধায়কদের দর অনেক বেড়ে গিয়েছে।'
সাংবাদিকদের পোড় খাওয়া গেহলট বলেছেন, '১৪ অগাস্ট অধিবেশন শুরুর দিন ঘোষণা হতেই ফোনের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। আমরা জানতে পেরেছি কে ফোন করছেন, কি প্রস্তাব দিচ্ছেন। যা চাও তাই পাবে- এই প্রস্তাব ক্রমশ আসছে।' মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় যে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট তা স্পষ্ট।
অশোক গেহলটের দাবি, 'আগে বলা হয়েছিল প্রথম কিস্তিতে ১০ কোটি ও পরের টায় আরও ১৫ কোটি দেওয়া হবে। এখন আমি হতবাক। বলা হচ্ছে যে, তোমাদের কী চাই বল- তাই পৌঁছে যাবে। মানে বিধায়কদের দর অনেক বেড়ে গিয়েছে।'
বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কংগ্রেস শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করলেও আইনি গেঁরো ও বিধায়কদের সংখ্যার খেলা নিয়ে নানা জল্পনা। এই জল্পনা জমিয়ে দিয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। দলের ৬ বিধায়ক কংগ্রেসে নাম লেখালেও তাদের হুইপ জারি করে আস্থা ভোটে কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জয় হাসিল করে সরকার টিঁকিয়ে রাখা যে খুব একটা সহজ নয় তা জানেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই শচিন পাইলট শিবিরের বিধায়কদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গেহলট।
মায়াবতীর পদক্ষেপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'গতবছর টিডিপির রাজ্যসভার চার সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। সেটা ঠিক ছিল। এখন কংগ্রেসে ৬ বিএসপি বিধায়ক এসেছে বলে তা ভুল?' সিবিআই, ইডি-র ভয়ে মায়াবতী গেরুয়া শিবিরের হয়ে কথা বলছেন বলে কটাক্ষ করেন গেহলট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন