রাজস্থানে কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' বিধায়কদের পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার রায়ে আগামী শুক্রবার। এদিন রাজস্থান হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে দু’বার কংগ্রেসের পরিষদীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পর শচীন ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই বিধায়ক স্পিকার ১৯ কংগ্রেস বিধায়ককে বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত নোটিশস পাঠান। এই নোটিসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পাইল সহ ১৯ বিধায়ক। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত স্পিকার নোটিস সংক্রান্ত বিষয় কোনও হস্তক্ষের করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মরু রাজ্যে রাজনীতিতে উত্তেজনা জারি। ভবিষ্যতের রণনীতি স্থির করতে মঙ্গলবার সকালে ফের পরিষদীয় দলের বৈঠক করে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবারই বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক হেগলট। তার আগে এদিন আগাম ঘর গুছোতে নিজের পক্ষের বিধায়কদের নিয়ে গেহলট এই বৈঠক করেন। বৈঠকে আজয় মাকেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারা সহ অন্যান্য নেতৃরা উপস্থিত ছিলেন।
পাইলটদের হয়ে এদিন হাইকোর্টে মুকুল রোহতগি বলেন, '১৯ জন 'বিদ্রোহী' বিধায়ককে নোটিস দেওয়ার সময় স্পিকার তাঁর বুদ্ধির প্রয়োগ করেছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ হাতে নেই।' তবে এদিন তিনি কোর্টে জানান, নোটিস জারির পর জবাব দেওয়ার জন্য বিধায়কদের অত্যন্ত কম সময় দেওয়া হয়েছিল। সোমবার আইনজীবী হরিশ সালভে পাইলট শিবিরের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বলেছিলেন যে, 'কোনও দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে কেউ যদি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, স্পিকার তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন না। রাজস্থানের স্পিকার যেভাবে কয়েকজন বিধায়ককে নোটিস দিয়েছেন তাতে তাঁদের বাকস্বাধীনতা খর্ব হয়েছে।'
নীরবতা ভেঙে রাজস্থানে সরকারের সংকট নিয়ে এদিন মুখ খোলেন রাহল গান্ধী। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা টুইটে তিনি লিখেছেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে সরকার যে সমস্ত বিষয় অর্জন করেছে তা হল: ফেব্রুয়ারি-নমস্তে ট্রাম্প, মার্চ- মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলা হয়েছে, এপ্রিল-মোমবাতি জ্বলেছে, মে- সরকারের ষষ্ঠ বার্ষিকী পালন করা, জুন- বিহারে ভার্চুয়াল সমাবেশ, জুলাই- রাজস্থান সরকারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই সব কারণেই এখন করোনার সঙ্গে যুদ্ধে দেশ স্বাবলম্বী।'
তবে আপাতত আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে রাজস্থান রাজনীতির গতিপ্রকৃতি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন