অজয় মাকেনের পদত্যাগে রাজস্থানে কংগ্রেসের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে। অশোক গেহলট আর শচীন পাইলটের দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থান কংগ্রেসে ডামাডোল চলছে। গত চার বছর ধরে সেই ডামাডোল চাপা দিলেও যেন প্রকাশ্যে চলে আসছে। যেমনটা, মাকেনের পদত্যাগের জেরে এল। আর, তাতেই বেশ মজা নিচ্ছেন রাজস্থানের বিজেপি নেতৃত্ব। রাজস্থান বিজেপির এক নেতা তো বলেই বসলেন, 'এখানে দুই ষাঁড়ের লড়াই চলছে। মাকেন আর কী করবেন?'
কথাটা অবশ্য বিরোধী শিবিরের নেতারা বেশ মজা করে বললেও, এখনও গেহলট-পাইলটের দ্বন্দ্বে ভুগছে রাজস্থান কংগ্রেস। শচীন পাইলটের অনুগামীরা প্রশ্ন তুলছেন, '৫১ দিন তো হয়ে গেল। এখনও গেহলটের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন?' গেহলটের অনুগামীরা এআইসিসির প্রতিনিধি মাকেনের বিধায়ক পরিষদীয় দলের বৈঠক বয়কট করেছিলেন। রাজস্থানের স্পিকারের কাছে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন।
তাঁদের দাবি ছিল, শচীন পাইলট বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে না। কিন্তু, এআইসিসি মোটামুটি ঠিকই করে নিয়েছিল যে পাইলটকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আর গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। থারুরকে হারিয়ে জয়ী হবেন। যেমনটা মল্লিকার্জুন খাড়গে হয়েছেন। কিন্তু, গেহলট নিজেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না।
আরও পড়ুন- ট্রুডোকে বলা জিনপিঙের কড়া কথা সোশ্যাল মিডিয়ায়, সাফাইয়েও ঢোঁক গিলছে চিন
তিনি এআইসিসির শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছার সরাসরি বিরোধিতা করেননি। কিন্তু, এগিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীদের। সেই অনুগামীরাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে মাকেনের ডাকা বৈঠকে আসেননি। তাতেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে কংগ্রেস নেতৃত্ব গেহলট অনুগামীদের চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু, ওই শোকজ নোটিশ দেওয়া পর্যন্তই। ওই গেহলট অনুগামী বিধায়কদের বিদ্রোহের ভয়ে সাসপেন্ড বা দল থেকে তাড়ানোর সাহস কংগ্রেস নেতৃত্ব দেখাননি। তাতেই চটেছেন পাইলটের অনুগামীরা।
তার অন্যতম কারণ আবার 'ভারত জোড়' যাত্রা। রাজস্থানে এই যাত্রা যাতে ঠিকঠাক ভাবে মেটে, সেজন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শোকজ হওয়া গেহলটের অনুগামীদেরই। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে মাকেন পদত্যাগ করেছেন। নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। আর, একইরকম ক্ষুব্ধ শচীন পাইলটও।
Read full story in English