শেষমেশ গেহলটের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন রাজ্য়পাল। আগামী ১৪ অগাস্ট থেকে বিধানসভার অধিবেশন চালু করার ব্য়াপারে রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রীর প্রস্তাব বুধবার গ্রহণ করলেন রাজ্য়পাল কলরাজ মিশ্র। ৭ দিনে এ নিয়ে ৪ বার প্রস্তাব দিলেন গেহলট।
এর আগে, বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে অশোক গেহলটের প্রস্তাব তৃতীয়বারের মতো ফেরান রাজ্য়পাল কলরাজ মিশ্র। পিটিআই-কে এ প্রসঙ্গে গেহলট বলেছিলেন, ''আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, উনি কী চান, জানতে চাই''।
শুক্রবারই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে চেয়ে অনড় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সংঘাতের এই আবহেই সংশোধিত প্রস্তাব মঙ্গলবার ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল কংগ্রেসের অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে রাজ্যপাল এবিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি করে হাত শিবির। অশোক হেগলট মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। তারপরই ফের সংশোধিত প্রস্তাব কলরাজ মিশ্রের কাছে পাঠানো হয়।
এর আগে, রাজ্য মন্ত্রিসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব শুক্রবার সকালে নাকচ করে দেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। পরে তিনি জানান, 'অধিবেশন ডাকতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।' বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর প্রশ্ন তোলেন তিনি। জানতে চান, মুখ্যমন্ত্রী কি আস্থা ভোট চান? তা হলে অধিবেশন ডাকতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু তা হলে ২১ দিনের সময় দিতে হবে। কারণ এই মহামারীতে এত স্বল্প সময়ের নোটিসে অধিবেশন ডাকা অসম্ভব বিষয়। তা ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বিধি কী ভাবে মানা হবে তাও জানতে চান রাজ্যপাল।
এদিকে প্রকাশ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনের দাবি করলেও বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী চিন্তা বাড়িয়েছে গেহলট সরকারের। আস্থাভোট হলে বিএসপি প্রতীকে নির্বাচিত বিধায়করা যেন কংগ্রেসকে ভোট না দেয়- রবিবারই মায়াবতী এই মর্মে রাজস্থানে তাঁর দলের ছয় বিধায়কের উদ্দেশে হুইপ জারি করেন। নির্দেশ না মানলে বিধায়কদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
২০০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আছেন ১০২ বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১০১ বিধায়কের সমর্থন। মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের দাবি, তাঁর কাছে ১০২ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এর মধ্যে বিএসপি থেকে কংগ্রেসে যোগদানকারী ৬ বিধায়কও অন্তর্ভুক্ত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন