রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ সি পি যোশী। স্পিকারের হয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে এ কথা জানান আইনজীবী কপিল সিবাল। আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্পিকারের ক্ষমতার প্রশ্নে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। গত সপ্তাহে রাজস্থান হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছিল আপাতত শচিন পাইলট সহ ১৯ জন 'বিদ্রোহী' কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না স্পিকার সি পি যোশী। দলীয় বৈঠকে না গিয়ে শচিন ও তাঁর অনুগামীরা দলবিরোধী কাজ করেছেন, এই অভিযোগ করে কংগ্রেস চিফ হুইপ তাদের বিধায়কপদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে ওই ১৯ বিধায়কের কাছে নোটিস পাঠান স্পিকার। এর বিরুদ্ধে আদালতে যান শচিন অনুগামীরা। গত শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি পান শচিন পাইলট শিবির। তারপরেই স্পিকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আজ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সেই আবেদন প্রত্যাহ করলেন যোশী।
এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর অশোক গেহলটের সঙ্গে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত। পরিবর্তিত প্রস্তাবে রাজ্যপালকে ৩১ জুলাই বিধানসভা অধিবেষন ডাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু, সেই প্রস্তাব ফের খারিজ করে দিয়েছেন কলরাজ মিশ্র। গেহেলটের কাছে আরও ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যপাল। তাই পরিবর্তিত প্রস্তাবও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বারংবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যাঘাত তৈরি করছেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, এর আগে আস্থা ভোটের দাবি নিয়ে রাজ্যপালকে বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে অস্পষ্টতার অভিযোগ তুলে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফেরৎ পাঠান কলরাজ মিশ্র।শনিবার তাই পরিবর্তিত প্রস্তাব পেশ করা হয়। কিন্তু আর আস্থা ভোটের উল্লেখ করা হয়নি।
এরই মধ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। কলরাজ মিশ্রের ব্যবহার 'আজ্ঞাবহ' বলে তোপ দেগেছে হাত শিবির। রাজ্য পরিচালনায় রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন বলেও অভিযোগ।
সরকার টিঁকিয়ে রাখতে এর আগে 'কৌশলে' আস্থা ভোটের দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। কারণ পাইলট শিবিরের ১৯ বিধায়ক ছাড়াও কংগ্রেস সরকারের ১০২ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে রাজভবনে গিয়ে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক চাপ বজায় রাখতে অবশ্য কংগ্রেস বিধায়করা শুক্রবারই রাজভবন ধর্ণায় বসেছিলেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবন ঘেরাওয়েরও হুমকি দিয়েছিলেন অশোক গেহলট।
সংকট ক্রমশ গভীর হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর। আস্থাভোট হলে ৬ বিধায়ককে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে হুইপ জারি করেছে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। ওই ৬ বিধায়ক মায়াবতীর দল বিএসপির টিকিটে জিতেছিলেন। পরে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। তাই এদের উপর বিএসপির হুইপ লাগু হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন