রাজস্থান রাজনীতির ঢেউ এবার আছড়ে পড়তে চলেছে রাজধানীতে। মরুরাজ্য়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানালেন রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট। এমনকি, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য়, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বিজেপি, এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন গেহলট। এদিন রাজস্থানজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা।
শুক্রবার, রাজ্য়পালের আশ্বাস মেলার পর শেষ পর্যন্ত রাজভবন চত্বরে গেহলট ক্য়াম্পের কংগ্রেস বিধায়করা ধর্না তুলে নেন। বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ব্য়াপারে রাজ্য়পালের আশ্বাসের পরই ধর্না থামান বিধায়করা।
রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' শচিন পাইলট শিবির। আদালতের রায়ের পর পরই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। শক্তি পরীক্ষার জন্য রাজ্যপালের কাছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানান তিনি। সাংবিধানিক পদে থেকেও কেন রাজ্যপাল বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গেহলট। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, 'এখনও পর্যন্ত শক্তি প্রদর্শেনের জন্য় এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, রাজ্যস্থানে তাই ঘটছে। এরপর জনতা রাজভাবন ঘেরাও করলে আমরা দায়ী থাকবো না।'
শুক্রবার সকালে রাজস্থান হাইকোর্ট জাননিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত শচিন পাইলট সহ কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' ১৯ বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না স্পিকার। এক্ষেত্রে 'স্থিতাবস্থা' জারি করেছে রাজস্থান হাইকোর্ট। হুইপ সত্ত্বেও দু'বার পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ না দিয়ে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন শচিন পাইলট ও তাঁর ১৮ অনুগামী। এই অভিযোগে তাঁদের বরখাস্তের নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন 'বিদ্রোহী' বিধায়করা।
এদিকে, রাজস্থানের স্পিকারের অধিকারে আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে সি পি যোশীর দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টর রায়ে আপাতত স্বস্তিতে শচিন পাইলটরা। এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ জুলাই। শীর্ষ আদালতের তরফে জানান হয় রাজস্থান হাইকোর্টের যে নির্দেশ ছিল আপাতত তা বহাল থাকছে।
মামলার শুরুতেই রাজস্থানের স্পিকারের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী তথা বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা কিপল সিব্বল বলেন, আদালত স্পিকারকে বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী নোটিসগুলিতে তাদের জবাব দাখিল করার জন্য সময় বাড়ানোর নির্দেশ দিতে পারে না। এটি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।” কপিল সিব্বলের সওয়ালের পর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, গণতন্ত্রে বিরোধী কন্ঠ বন্ধ করা যায় না। বিচারপতিদের বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এটি কোনও সাধারণ বিষয় নয়। এই বিধায়করা নির্বাচিত প্রতিনিধি। বিধায়কদের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার প্রক্রিয়া অনুমতিযোগ্য কি না তা আগে দেখতে হবে।”
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন