শুভেন্দুর পর মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা। শহর থেকে গ্রাম- কখনও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে, আবার কখনও দল ও নেত্রীর ছবি বাদ দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। একই সঙ্গে অরাজনৈতিক মঞ্চে প্রকাশ্যেই নেতৃত্ব নিয়ে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মন্ত্রী। ফলে দল ও মন্ত্রীর সম্পর্কে যে দূরত্ব বেড়েছে তা স্পষ্ট।
অবশ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা ইঙ্গিতে বোঝালেও তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। জনমানসে ভাল ইমেজধারী রাজীবকে দলে রাখতে অবশ্য তৎপর জোড়া-ফুল শিবির। প্রথমবার বেসুরো হতেই তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। পরে আবারও তাল কাটলে রাজীবের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দু'দফায় বৈঠক সেরেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবারই বৈঠক শেষে দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী হিসাবেই নিজেকে দাবি করেছেন রাজীব। সমস্যাসে যে তেমন গুরুতর নয় তাও বলেছেন।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
কিন্তু, মন্ত্রীকে ঘিরে জল্পনার অন্ত নেই। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই চর্চা আরও বাড়ে। রাজ্যের শাসক দলের একাংশ নিশ্চিৎ যে শুভেন্দুর পথেরই অনুগামী হবেন রাজীববাবু।
এর মাঝেই অবশ্য এক অন্য ছবি ধরা পড়ল বিধানসভায়। এ দিন বিধানসভায় ফুল মেলার উদ্বোধনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই খোসমেজাজে দেখা গেল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মধ্যমণই রাজীবকে নিয়ে হাসিমুখে গল্পে মাততে দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুজিত বসুকে।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
তাহলে কী সব জল্পনার অবসান? দলের সঙ্গে সমস্যার ইতি? জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রকৃতি ভালবাসি। আমি ফুল-ফল সব কিছু ভালবাসি। আমি বিধানসভার এক জন সদস্যও। আমাকে ডেকেছেন। এসেছি আমার কোনওদিনই দলের বিরোধ ছিল না। আমি কোনও জল্পনায় কান দিই না। জল্পনা-কল্পনার না থেকে আমি বাস্তবে রয়েছি।'
অবশ্য তাতেও বিতর্ক মেটেনি। এদিন মন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন করে যেন বিতর্কের ইন্ধন মিলেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বঠাৎই বলেন, 'এ বার ফুলমেলা কোভিডের জন্য ভাল ভাবে করা গেল না। কিন্তু আগামী বছর কী হবে কেউ জানে না। স্পিকার নিশ্চয়ই এই ধরনের উদ্যোগ আবার গ্রহণ করবেন।' আগামী বছর নিয়ে কেন অনিশ্চয়তায় রয়েছেন রাজীববাবু? প্রশ্ন উঠছেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন