Advertisment

রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মুক্তির সুপারিশ তামিল নাড়ু মন্ত্রিসভার

২০১৬ সালের মার্চ মাসে তামিল নাড়ু সরকার সমস্ত বন্দি মুক্তির সুপারিশ করে এ ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল। গত মাসেই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তদের শাস্তির পরিমাণ কমালে তা ‘ভয়ানক উদাহরণ’ হয়ে উঠবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৯৯১ সালের ২১ মে নিহত হন রাজীব গান্ধী

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত সমস্ত আসামীদের মুক্তির প্রস্তাব পাশ করল তামিল নাড়ু মন্ত্রিসভা। দু দিন আগেই শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার অর্পণ করেছিল এই রাজ্যের রাজ্যপালের ওপর। তামিল নাড়ু মন্ত্রিসভার এই প্রস্তাব এবার পাঠানো হবে রাজ্যপাল বনোয়ারীলাল পুরোহিতের কাছে। ১৯৯১ সালে মানববোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় রাজীব গান্ধীর। এ ঘটনায় দণ্ডিত হয়ে ২৫ বছর ধরে জেলে আছেন ভি শ্রীহরণ ওরফে মুরুগান, টি সুচেন্দররাজা ওরফে সন্তম, এজি পেরারিভালান ওরফে আরিভু, জয়াকুমার, রবার্ট পায়াস, পি রবিচন্দ্রন এবং নলিনী।

Advertisment

রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীর পৌরোহিত্যে আয়োজিত সভার পর রাজ্যের মন্ত্রী ডি জয়াকুমার জানিয়েছেন, ‘‘তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামীর মুক্তির প্রস্তাব করছে। এই প্রস্তাব এখনই তামিল নাড়ুর রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন, Rajiv Gandhi Assassination: ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কিনে ২৭ বছর জেলে

২০১৬ সালের মার্চ মাসে তামিল নাড়ু সরকার সমস্ত বন্দি মুক্তির সুপারিশ করে এ ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল। গত মাসেই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তদের শাস্তির পরিমাণ কমালে তা ‘ভয়ানক উদাহরণ’ হয়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের  আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি নবীন সিনহা ও বিচারপতি কেএম জোসেফের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ পেরারিভালানের ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টি বিবেচনার জন্য রাজ্যপালকে পাঠায়।

পেরারিভালানের বিরুদ্ধে একটি ৯ ভোল্ট ব্যাটারি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে, যা দিয়ে তৈরি করা বেল্ট বোমা বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধী ও আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পেরারিভালান জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৬১ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করেছেন তিনি।

শীর্ষ আদালত যদিও রাজ্যপালকে পেরারিভালানের আবেদন বিবেচনা করতে বলেছিল, তা সত্ত্বেও সরকার সমস্ত আসামীকেই মুক্তির সুপারিশ করেছে। জয়াকুমার জানিয়েছেন, এঁরা সকলেই মুক্তির আবেদন করেছিলেন, সেই ভিত্তিতেই সরকারের এই সুপারিশের সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন, রাজীব হত্যায় কারাদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তের মার্সি পিটিশন বিবেচনা করতে বলল শীর্ষ আদালত

এদি মন্ত্রসভার পক্ষ থেকে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রকে ভারত রত্ন সম্মানের দাবিও করা হয়েছে। একই সঙ্গে চেন্নাই রেলস্টোশনের নাম এম জি রামচন্দ্রন সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন রাখার দানিও তুলেছে মন্ত্রিসভা।

tamil nadu supreme court Rajiv Gandhi Assassination Perarivalan
Advertisment