Advertisment

রাজীব হত্যায় কারাদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তের মার্সি পিটিশন বিবেচনা করতে বলল শীর্ষ আদালত

তিনি জানান, গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ নিয়ে রাজ্য়পালের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ বছর ধরে পেরারিভালান সলিটারি কনফাইনমেন্টে রয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme-court

রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত এ জি পেরারিভালানের মার্সি পিটিশন বিবেচনা করতে বলল শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের কাছে এই বিবেচনাসংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী  হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত পেরারিভালানকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Advertisment

বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, নবীন সিনহা ও কেএম জোসেফকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে পেরারিভালানের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গত ২ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে।

আরও পড়ুন, Rajiv Gandhi Assassination: ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কিনে ২৭ বছর জেলে

তিনি জানান, গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ নিয়ে রাজ্য়পালের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ বছর ধরে পেরারিভালান সলিটারি কনফাইনমেন্টে রয়েছেন।

সংবিধানের ১৬১ নং অনুচ্ছেদের আওতায় রাজ্যপালের কাছে পেরারিভালান সহ এই মামলায় সাতজন দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত মার্সি পিটিশন দাখিল করেছেন।

কেন্দ্রের কাছে তামিলনাড়ু সরকার এই দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মুক্তির ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে গত ১০ অগাস্ট এ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত আদালতের কাছে জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেথানে বলা হয়েছিল, এই অপরাধীদের মুক্তি দিলে তা বিপজ্জনক উদাহরণ হয়ে থাকবে।

কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, "একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া বিপজ্জনক উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই মামলার রায় বিচারবিভাগের বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে স্থিরীকৃত হয়েছে এবং এই বন্দিদের মুক্তি প্রাপ্য নয়।

এদের মুক্তি দেওয়া হলে এ ধরনের অপরাধীরা আন্তর্জাতিক স্তরে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করবে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিল কেন্দ্র।

কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধী চেন্নাইয়ের কাছে এক নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমায় মারা যান ১৯৯১ সালের ২১ মে। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পিছনে অধুনা বিলুপ্ত লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলমের হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়।

supreme court Perarivalan
Advertisment