এনআরসি নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনও আলোচনা হয়নি। তাই দেশজুড়ে এনআরসি লাগুর কোনও প্রশ্নই নেই। এমনটাই আশ্বাস ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর। তবে, এনআরসি-র পক্ষে জনমত সংগ্রহে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গেরুয়া বাহিনীর বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যেই তা স্পষ্ট। তাঁর প্রশ্ন, 'রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে নাগরিকের সংখ্যা কত এবং কতজন বিদেশি বসবাস করেন। তা জানার অধিকার প্রত্যেক রাষ্ট্রের রয়েছে। তাহলে এনআরসি নিয়ে এত আপত্তি কেন?'
ম্যাঙ্গালুরুতে দলীয় সভায় রাজনাথ সিং বলেন, 'প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই কী জানা উচিত নয় যে, দেশের মাটিতে নাগরিকের সংখ্যা কত এবং কতজন বিদেশি বসবাস করেন? আমি আপনাদেরই জিজ্ঞাসা করছি। আমার প্রশ্ন, দেশের নাগরিক কতজন? তা জানার অধিকার কী রাষ্ট্রের থাকা উচিত নয়?' জমায়েত থেকে প্রশ্নের পক্ষে সম্মতি জাবাব মেলার পরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, 'তাহলে এনআরসি লাগু নিয়ে এত আপত্তি কিসের?'
আরও পড়ুন: সিএএ আইনে আবেদনকারীকে ধর্মেরও প্রমাণ দিতে হবে
জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণের দায় নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে তৎপর পদ্ম বাহিনী। কংগ্রেসের উপর দায় চাপিয়ে এদিন রাজনাথ সিং বলেন, 'আমরা (বিজেপি) এনআরসি তৈরি করিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কংগ্রেস জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণের সূচনা করেছিল। তবে, এর দায়ে এসে পড়ছে আমাদের কাঁধে।'
এনআরসির মাধ্যমে দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। বিজেপি ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। যার জবাবে রাজনাথ বলেন, 'এনআরসি ভারতে মুসলমানদের আঘাত করবে না। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ইসলাম ধর্ম প্রধান দেশ। তা বলে সেসব দেশের সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন করা যায় না। কিন্তু, ভারতের ধর্ম হিন্দু নয়, এ দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ।' বিজেপি কর্মীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, ' নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না, মুসলমান ভাইয়ের সচেতন করুন। তারা বিরোধী দলগুলোর বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের শিকার।'
প্রস্তাবিত এনআরসি বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলের। তাদের কটাক্ষ করে এদিন রাজনাথ বলেন, 'বিরোধী কর্তব্য' পালন করতে গিয়ে 'রাষ্ট্র কর্তব্য' ভুলে যাবেন না। মোদী সরকার গত ৬ বছরে ৬০০ মুসলমানকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন পাক বংশদ্ভুত শিল্পী অদনান স্বামীর প্রসঙ্গ।
Read the full story in English