রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী। বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী ও প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়ন দাখিল করার কথা রয়েছে তৃণমূলের অপর দুই প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ ও মৌসম বেনজির নূরের। এর আগে এই চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পঞ্চম আসনে এক নির্দল প্রার্থী দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত রয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে লড়াইয়ের ইঙ্গিত
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন দিনেশ ত্রিবেদী, অর্পিতা ঘোষ ও মৌসম বেনজির নূর। এই তিন তৃণমূল প্রার্থীই বিজেপি প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। মৌসম লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। দীনেশ ত্রিবেদী ছিলেন ব্য়ারাকপুরের প্রার্থী। বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। এখন তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অন্যদিকে, মুকুল রায় দল ছেড়ে দেওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক হন সুব্রত বক্সী। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তাপস রায়।
আরও পড়ুন: শোভন চাইলে আমি হাসিমুখে সরে যাব: রত্না
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ দুজন প্রার্থী দিয়েছি, শুক্রবার আরও তিনজন প্রার্থী দেব কি না বলতে পারছি না। নির্দলকে সমর্থন করব কি না তা-ও বলতে পারছি না। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।" তবে তিনি দলের পঞ্চম প্রার্থীর মানতে চাননি। পার্থবাবুর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়ায় এছাড়া এ রাজ্য থেকে আরও একজন প্রার্থী রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বাম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী। বিকাশ ভট্টাচার্য যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কাছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাকি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে খবর। রাজ্যের বিধানসভা আসনের নিরিখে পাঁচ জন সাংসদ রাজ্যসভায় যাবেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের চার ও সিপিএমের এক প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনে লড়াই হলে হিসেব পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন