গত তিন দিনে সংসদে রেকর্ড বিরোধী সাংসদ বহিষ্কার ঘিরে বিতর্ক জারি। যাতে অন্য মাত্রা যোগ করলেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদদের একাংশ সংসদের অভ্যন্তরে গান্ধীমূর্তির কাছে ধর্না দিচ্ছিলেন। সেখানেই দেখা যায়, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে ভেঙাচ্ছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অঙ্গভঙ্গির ভিডিয়ো রেকর্ড করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি দেখে সেখানে উপস্থিত সকল বিরোধী সাংসদরা সমস্বরে হাসছেন। গোটা ঘটনা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
দুপুরে রাজ্যসভা ফের চালু হতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে সরব হন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'পতনের সীমা নেই। আমি একজন সিনিয়র সাংসদকে অন্য একজন সাংসদের অসংসদীয় আচরণের ভিডিওগ্রাফ করতে দেখেছি। তিনি আপনার চেয়েও বড় নেতা। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক আমি কেবল প্রার্থনা করতে পারি।' একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'একটা সীমা থাকা উচিত…অন্তত কিছু জায়গা এসব থেকে বাদ দিন।রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কার্যালয় এবং স্পিকারের কার্যালয়ের একটা মর্যাদা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ থাকবে, তাঁদের মধ্যে চরম বাকবিতণ্ডা থাকবে, কিন্তু কল্পনা করুন একজন সিনিয়র সাংসদ অন্য দলের সাংসদের ভেঙানো অঙ্গভঙ্গির ভিডিওগ্রাফি করছেন তাকতটা হাস্যকর, কতটা লজ্জাজনক, কতটা অগ্রহণযোগ্য।'
আরও পড়ুন- সংসদে সাসপেন্ড ধারা জারি, মঙ্গলে বরখাস্ত আরও ৪১ বিরোধী সাংসদ, ৩ দিনে ১৪১
যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'উনি (জগদীপ ধনখড়) রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, আমি তাঁকে সম্মান করি। কিন্তু, ওখানে কী হয়েছে, না হয়েছে, তা নিয়ে উনি আমার নাম নিয়ে কিছু বলেননি। তাহলে আমি কেন উত্তর দেব?'