মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন গোয়া, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গের ১০টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচনের ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ জুলাই ওই সব আসনে নির্বাচন হবে। যে সাংসদদের আসনগুলো খালি হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও আছেন। জয়শংকর, জেমালভাই আনাভাদিয়া এবং লোখাণ্ডওয়ালা যুগলসিং মাথুরজি হলেন গুজরাটের তিন বিজেপি সাংসদ, যাঁদের মেয়াদ ১৮ আগস্ট শেষ হচ্ছে। বিজেপি সাংসদ বিনয় ডি তেণ্ডুলকরের মেয়াদ ২৮ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। সেই কারণে গোয়ার একটি আসনেও ভোট হবে।
ডেরেক ও' ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দুশেখর রায় ও কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের মেয়াদ ১৮ আগস্ট শেষ হবে। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ৬ জুলাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ জুলাই। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ জুলাই। ভোটগ্রহণ এবং গণনা হবে ২৪ জুলাই। কমিশন পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনের উপনির্বাচনের জন্যও একই সময়সূচি ঘোষণা করেছে। ওই আসনটি তৃণমূল সাংসদ লুইজিনহো জোয়াকিম ফালেইরোর পদত্যাগের পর শূন্য হয়েছে। তিনি ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাংসদ থাকবেন বলে কথা ছিল।
যে সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তার মধ্যে প্রদীপ ভট্টাচার্য যখন রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বাম এবং কংগ্রেস ছিল বিরোধী আসনে। কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস একটিও আসনে জিততে পারেনি। ফলে, বাম ও কংগ্রেসের কারও রাজ্য থেকে বর্তমানে রাজ্যসভায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এক্ষেত্রে একমাত্র যদি কংগ্রেস হাইকমান্ডের অনুরোধে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও প্রার্থীকে সমর্থন জানায়, তবেই কংগ্রেসের কোনও নেতার রাজ্যসভায় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আরও পড়ুন- ইসলামে তিন তালাক আবশ্যিক হলে কেন মুসলিম দেশগুলোয় চালু নেই, প্রশ্ন মোদীর
পাশাপাশি, এবার বিরোধী আসনে থাকা বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় কাকে প্রার্থী করা হয়, সেটাও দেখার বিষয়। একইসঙ্গে, যে তৃণমূল সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাঁদের কি ফের রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হবে? সেই প্রশ্নেরও মীমাংসা হবে আগামী দিনে।