পুড়ছে হৃদয়, কংগ্রেসের রাজ্যসভার টিকিট বন্টনে তুমুল ক্ষোভ

২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভোট। তার আগেই শতাব্দী প্রাচীন দলের সংগঠনের অভ্যন্তরে চাপা অসন্তোষের রেশ।

২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভোট। তার আগেই শতাব্দী প্রাচীন দলের সংগঠনের অভ্যন্তরে চাপা অসন্তোষের রেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভোট। ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। বড় কোনও চমক নেই। তবে এই ঘোষণার পর থেকেই শতাব্দী প্রাচীন দলের সংগঠনের অভ্যন্তরে চাপা অসন্তোষের রেশ। ঠারেঠোরে একে অপরকে বুঝে নেওয়ার হুঙ্কার।

Advertisment

প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ভুপিন্দর সিং হুডা, অশোক গেহলটরা। এই তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। আর এতেই বেড়েছে দলের অন্দরের বিবাদ।

রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা বা প্রদেশ সভানেত্রী কুমারী শৈলজা রাজ্যসভার টিকিট না পেলেও হরিয়ানা থেকে প্রার্থী হয়েছেন ভুপিন্দর সিং হুডার পুত্র। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের পুরনাবৃত্তি চাইছে না হাইকমান্ড। ২০১৬ সালের রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী আরকে আনন্দ পরাজিত হন। কংগ্রেসের ১৪ বিধায়কের ভোট বাতিল হয়। জানা যায় এঁরা প্রত্যেকেই হুড়ার আনুগামী। সেই সময় রাজ্যসভায় নিজে ছেলেকে প্রার্থী করতে আগ্রহী ছিলেন হুডা। তবে হাইকমান্ড হুডার সেই আবেদন মানেনি। প্রার্থী করা হয় কুমারী শৈলজা ও সুরজেওয়ালাকে। এবার তাই হুডা পুত্রকে প্রার্থী করেই ওই আসনটি নিশ্চিত করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধীরা।

দ্বিগিজয় সিং ও বিএসপির ফুল সিং বরাইয়াকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় মনোময়ন দিয়েছে হাত শিবির। তবে ২২ দলীয় বিধায়কের দলত্যাগের পর কংগ্রেস প্রার্থীরা জিতবেন কিনা তা নিয়েই সংশয় দানা বেঁধেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: হাতেই থাকবে মধ্যপ্রদেশ, রাজ্যপালকে আস্থা ভোটের আর্জি প্রত্যয়ী কমলনাথের

মহারাষ্ট্র থেকে কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রার্থী করেছে প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি ও এআইসিসি সদস্য রাজীব সাতাভকে। দৌড়ে ছিলেন মুকুল ওয়াসনিক, প্রাক্তন সাংসদ রজনী প্যাটেল ও রাজীব শুক্লারা। গুজরাটে প্রার্থী করা হয়েছে হিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সদস্য শক্তিসিং গোহিল ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বি সোলাঙ্কিকে।

রাজস্থান থেকে টিকিট পেয়েছেন রাহুল গান্ধী কে সি ভেণুগোপাল। দ্বিতীয় প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক নীরজ দাঙ্গি। দলের অভ্যন্ততে গেহেলটের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত দাঙ্গি। কংগ্রেস এক নেতার কথায়, 'এমন অনেককে প্রার্থী করা হল যাঁরা বিধানসভায় পবরাজিত হয়েছেন। মানুষের যাদের বাতিল করল হাইকমান্ড তাঁদের সম্মান জানাল।' যা স্পষ্ট করে শতাব্দী প্রাচীন দলের অন্দরের বিবাদ।

প্রার্থী তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট। যেমন কেটিএস তুলসী। সোনিয়া জামাতা রবার্ট বঢ়রার আইনজীবী তুলসী। তাঁকেই এবার ছত্তিশগড় থেকে প্রার্থী করেছে হাত শিবির। রাজ্য থেকে দ্বিতীয় আসনে লড়াই করবেন ফুলোদেবী নিতম। ঝাড়খণ্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকলেও শেহেজাদা আনওয়ারকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS