কেন্দ্রের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আপ-এর মেগা সমাবেশ, মোদীকে আজ একহাত নেবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আজ দিল্লির রাজপথে নামছে আপ। রামলীলা ময়দানে আম আদমি পার্টির (AAP) মেগা সমাবেশের(AAP Rally Ramlila Ground) আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে মোদীকে আজ এই সমাবেশ থেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহাসমাবেশে এক লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছে আপ।
আজকের এই সমাবেশে কেজরিওয়ালের সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং সৌরভ ভরদ্বাজ, অতীশি এবং সঞ্জয় সিং সহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। রামলীলা ময়দান থেকে ২০১২ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন কেজরিওয়াল। রবিবার (১১ জুন) ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন তিনি।
১৯মে কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে আপ। এই ইস্যুতে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সমর্থন আদায়ে আহ্বানও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। সকলেই কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেজরিওয়ালের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
নিজের রাজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য আপ সুপ্রিমো এখন কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর জোগাড় করতে চান। দিল্লি সরকারের অধীনে কর্মরত আমলারা। তাঁদের নিয়োগ বা বদলির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তা-ই নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আপ সরকারের বিবাদ চরমে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা পাস কাটিয়ে জারি করা নতুন অধ্যাদেশ। কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ক্ষমতা থাকবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। যিনি আবার কেন্দ্রের প্রতিনিধি। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আগে থেকে সুর চড়িয়েছে আপ। অর্ডিন্যান্স অনুসারে, দিল্লিতে আধিকারিকদের বদলি-পোস্টিংয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোন অধিকার থাকবে না।
রামলীলা ময়দানে আম আদমি পার্টির মহা র্যালির প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। দিল্লির মন্ত্রী অতীশি বলেছেন, 'এটি আপ বা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমাবেশ নয়, এটি দিল্লির জনগণের সমাবেশ যারা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। আপ মুখপাত্র রীনা গুপ্তা জানিয়েছেন, এক লাখ লোক সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্ডিন্যান্স এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছে দল। গুপ্তা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও বলা হয়েছে যে আমলারা যদি তাদের কথা না শোনেন, তাহলে নির্বাচিত সরকার কীভাবে কাজ করবে। দিল্লির মানুষ চিন্তিত কেন কেন্দ্র এটি পরিবর্তন করতে চাইছে”।