Advertisment

বনবাসের ১৪ বছরেই রাম 'মর্যাদা পুরুষত্তম', আদিবাসী মন জয়ের চেষ্টায় মোদী

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী মোদী

মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাচ্যূত বিজেপি। গোটা দেশে বিভিন্ন উপনির্বাচনেও বিশেষ সাফল্য পায়নি গেরুয়া শিবির। ঝাড়খণ্ডে জয় নিয়েও নিশ্চিত নন পদ্ম শিবিরের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে সাফল্যের খোঁজে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতিয়ার সেই রামচন্দ্র। আদিবাসীদের সঙ্গে ১৪ বছর কাটিয়েই রাম 'মর্যাদা পুরুষত্তম' হতে পেরেছিলেন বলে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে দাবি করলেন বিজেপির 'পোস্টার বয়'। একই সঙ্গে কৌশলে আদিবাসী আবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

বিধানসভা ভোট চলছে ঝাড়খণ্ডে। প্রথম পর্যায়ের ১৩ বিধানসভায় ভোট হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭ তারিখ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। মঙ্গলবার খুন্তিতে ভোট প্রচার করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই শান্তিপূর্ণভাবে রাম মন্দির বিতর্কের অবসানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, '১৪ বছর বনবাসে কাটিয়ে রাম যখন অযোধ্যায় ফেরেন তখন তিনি মর্যাদা পুরুষত্তম বলে প্রশংসিত। কেন জানেন? আদিবাসীরা রামকে তাদের সংস্কৃতিতে শিক্ষিত করে তুলতে পেরেছিল। রাম অযোধ্যা ছেড়েছিলেন যুবরাজ হিসাবে, কিন্তু ফিরেছিলেন মর্যাদা পুরুষত্তম রূপে।'

আরও পড়ুন: ঈশ্বর ভারতীয় অর্থনীতিকে রক্ষা করুন: চিদাম্বরম

দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। প্রচারে অবশ্য কাশ্মীর ও ঝাড়খণ্ডের যোগসূত্র নির্মাণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভূস্বর্গের প্রশাসনের সাফল্যের কথা তুলে ধরে মোদী বলেন, 'সেই অঞ্চলের উন্নয়নের ভার রয়েছে আপনাদেরই রাজ্যের এক বাসিন্দার হাতে।' উল্লেখ্য, কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র জি সি মুর্মুকে।

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির অবস্থা খুব একটা পোক্ত নয়। শরিক জেডিইউ একলা ভোটে লড়াই করছে। জেএলপি-ও ঝাড়খণ্ডে এনডিএ জোট ছেড়েছে। তার উপর আবার, অর্থনীতির অবস্থা তথৈবচ। বেকারত্ব বাড়ছে। ক্রয় ক্ষমতা তলানিতে। তাই দলের হাল ধরতে ছুটে আসতে হয়েছে মোদীকে। এতকিছুর পরও অবশ্য  রাজ্যে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বিজেপির মাসিহা। তাঁর দাবি, 'প্রথম পর্যায়ের ভোটের পর এটা পরিষ্কার এরাজ্যের মানুষ আস্থা রাখছেন পদ্ম ফুলের দিকেই।' নকশালদের দমনে রঘুবর দাস সরকারকেই ফের ক্ষমতায় ফেরানোর আহ্বান করেন তিনি। কিন্তু মোদীর ভোকাল টনিকে কী চিঁড়ে ভিজবে? সন্দিহান গেরুয়া দলের নেতারা।

পাঁচ পর্যায়ে ভোট হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ।

Read the full story in English

Advertisment