সংসদের শীত অধিবেশনে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বিল আনছে মোদী সরকার। আর এই বিল যদি রাজ্যসভায় আটকে যায়, সেক্ষেত্রে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে মন্দির গড়বে সরকার। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কুশওয়া। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে রাম মন্দির গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে কুশওয়ার এদিনের এই মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল।
সালেমপুরের সাংসদ কুশওয়া এদিন বলেন, "১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সংসদের শীত অধিবেশনেই রাম মন্দির নির্মাণের বিল উত্থাপিত হবে সংসদে...যদি রাজ্যসভায় এই বিল পাশ না হয়, তাহলে অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে"। এরপরই তাত্পর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেন, বিলটি সংসদে উঠলেই বোঝা যাবে, কোন দল মন্দিরের পক্ষে, আর কে বিপক্ষে। কুশওয়া নিশ্চিত যে এই বিল লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠের সমর্থন পাবে। তবে, সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির সদস্য সংখ্যা নগন্য হওয়ায়, বিল আটকে যেতে পারে। আর সে জন্যই অধ্যাদেশের রাস্তায় হাঁটার কথা বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই তাৎক্ষণিক তিন তালাককে (তালাক-ই-বিদ্দত) শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে যে বিল মোদী সরকার এনেছিল, তা পাশ হয়ে গিয়েছিল লোকসভায়। কিন্তু, বিরোধী প্রধান রাজ্যসভায় সেই বিল আটকে যায়। এরপর তড়িঘড়ি অর্ডিন্যান্স এনে দেশ জুড়ে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণা করে কেন্দ্র। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে বলে দাবি কুশওয়ার।
এদিন রবীন্দ্র কুশওয়া পরোক্ষে সুপ্রিম কোর্টর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যখন নিয়মিত এই মামলার শুনানি করছিল, তখন আশায় বুক বেঁধেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু, তার পরেই যা হল, তাতে আশাহত হয়েছে সকলে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছর জানুয়ারির প্রথমে। আপাতত এই মামলাটি শার্ষ আদালতের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।
Read the full story in English