'আগামী চার মাসের মধ্যেই অযোধ্যায় গগনচুম্বী রাম মন্দির গড়ে উঠবে।' ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে আশ্বাস দিলেন বিজেপি সভাপতি তথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডের পাকুরের প্রচার সভায় শাহ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। অযোধ্যায় আগামী চার মাসের মধ্যেই বিরাট মাপের রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হবে।' আদালতের রায় মেনে মসজিদ নির্মাণে অযোধ্যাতেই পাঁচ একর জমি খোঁজার কাজ হবে বলে জানিয়েছেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী।
Advertisment
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুসলিম পক্ষকে। বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরিতে বাধা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতেরই দ্বারস্থ হয়েছিল অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আদিবাসী আধ্যুষিত জাড়খণ্ডে কেন বার বার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের কথা প্রচারে তুলে ধরছে বিজেপি? মোদী-শাহদের কোণঠাসা করতে এই প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। প্রচারমঞ্চে কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের জবাব দেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় অধিকাংশ সময় ধরেই ছিল কংগ্রেস। তখন কী কাজ হয়েছে? তার জবাব দিন রাহুল গান্ধী।' সোনিয়া পুত্রকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, 'ইটালিয়ান কাঁচের চশমা পরে রয়েছেন রাহুল। দেশ রক্ষায় এরাজ্যের (ঝাড়খণ্ড) যুবকদের সীমান্তে রক্তপাতের বিষয়টি সমন্ধে কোনও ধারনাই নেই ওনার।'
প্রচারে অমিত শাহ মনে করিয়ে দেন ঝাড়খণ্ড তৈরির পিছনে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবদান। পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে রাজ্য নকশালরা কোণঠাসা হয়েছে। যা গেরুয়া দলের অন্যতম সাফল্য বলেই প্রচারে তুলে ধরেন বিজেপি সভাপতি।