/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/rajnath-and-bhagwat.jpg)
বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং ও মেহন ভাগবত (ছবি- প্রবীণ জৈন)
আগের দিন বলেছিলেন রাম মন্দির অযোধ্যাতেই হওয়া উচিত। পরের দিন বললেন যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার হওয়া উচিত এবং সত্য ও ন্যায়কে অস্বীকার করলে অযোধ্যায় ‘মহাভারত’ রচিত হতে পারে। হেমন্ত শর্মার লেখা দুটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পর এক অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ওই অনুষ্ঠানো পৌরোহিত্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
রাজনাথ সিং বলেছেন, সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ যদি সহমতের মাধ্যমে রামকে তাঁর গৃহে (জন্মভূমিতে) প্রতিষ্ঠা করতেন তাহলে সবচেয়ে ভাল হত। অমিত শাহ বলেন, রাম জন্মভূমি আন্দোলন শুরু হয়েছে মন্দির ধ্বংসের পরেই এবং যতদিন না ‘সংস্কৃতির জয়’ হবে, ততদিন সে আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে সহমতের রাস্তায় হাঁটার কথা মোহন ভাগবতের মুখে
ভাগবত বলেছেন, ‘‘আত্মস্বার্থে বা ধৃষ্টতার কারণে যদি সত্য ও ন্যায়বিচার উপেক্ষিত হলে অযোধ্যাতে মহাভারত ঘটে যেতে পারে। এরকম হওয়া উচিত নয়, কিন্তু এরকম হতে পারে... কে একে এড়াতে পারে?’’ বুধবার তিনি বলেছিলেন, অযোধ্যাই রামের জন্মভূমি এবং সেখানেই মন্দির হওয়া উচিত, এদিন ফের সে কথা বলেন মোহন ভাগবত।
মোহন ভাগবতের সতর্কবাণী, ‘‘যদি আমরা মিথ্যা ও অন্যায়ের পথে যাই তাহলে হিংসা ঘটবেই।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সত্যের মুখোমুখি হতেই হবে, দ্রুত ন্যায় ঘোষণা করতে হবে। দেরি করলে কোনও লাভ হবে না।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘রামের নির্বাসন ১৪ বছরে শেষ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু ৫০০ বছর পরেও অযোধ্যার নির্বাসন শেষ হল না।’’
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাম জন্মভূমির আন্দোলনকে স্বাধীন ভারতের বৃহত্তম আন্দোলন বলে বর্ণনা করে বলেছেন, রাম ও অযোধ্যাকে আলাদা করা যায় না। তিনি বলেন, রাম রাজ্য মানে সুশাসন এবং রাম হলেন আদর্শ শাসক। অমিত শহ বলেন, ‘‘আমার গণতন্ত্রে পূর্ণ আস্থা রয়েছে, মানুষের আবেগ সর্বদাই জয়ী হয়েছে। এই আন্দোলনও সে পথেই যাবে।’’