রাজস্থানের বারমেরে এক অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের হল যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা পাঠাই খানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে চৌহাতান থানায় এফআইআর নথিবদ্ধ করা হয়েছে। চৌহাতান থানার পুলিশ আধিকারিক ভূতারাম জানিয়েছেন, যোগগুরুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩এ (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), ২৯৫এ (ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষমূলক কাজ, যে কোনও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার চেষ্টা, ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা) এবং ২৯৮ (কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার চেষ্টায় শব্দ বা উচ্চারণ)-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে রামদেব হিন্দু ধর্মকে ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের সঙ্গে তুলনা করছিলেন। সেই সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের আশ্রয় নেওয়া এবং হিন্দু মহিলাদের অপহরণ করার অভিযোগ করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে রামদেব অভিযোগ করেন যে দুটি সম্প্রদায়ই ধর্মান্তরণে জোর দিয়েছে। কিন্তু, হিন্দু ধর্ম কখনও ধর্মান্তরিত করতে শেখায়নি। বরং, তার অনুগামীদের শুধু ভালো করতেই শিখিয়েছে। এই সব মন্তব্যকে কার্যত উসকানি দেওয়া বলেই মনে করেছেন পাঠাই খান। কারণ, রাজস্থানে এর আগে বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। এই ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরেই তা ঘটেছে বলে রাজস্থানের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের অভিযোগ।
আরও পড়ুন- অভিনব! একই আসরে তিন সম্প্রদায়ের পাত্র-পাত্রীর বিয়ে দেখল তারাপীঠ
রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশের আবার অভিযোগ, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে রাজস্থানে হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলতে মরিয়া সংঘ পরিবার। আর, সেই কথা মাথায় রেখেই রামদেবের মত সংঘ ঘনিষ্ঠর এই মন্তব্য। তাতে যাতে সাধারণ মানুষকে ভুগতে না-হয়, রাজনীতির বলি হতে না-হয়, সেই জন্য সতর্ক রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। পাঠাই খানের অভিযোগকে তাই কড়া ভাবে কাজে লাগাতেই এফআইআর গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এবারই অবশ্য প্রথম নয়। অতীতেও বারবার নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অভিযোগের কাঠগড়ায় উঠেছেন যোগগুরু রামদেব।
Read full story in English