সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদের যোগ্য, এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'কর্ণাটকে বিজেপির বিপরীতে জয়ে, কংগ্রেসের সব স্তরে নেতাদের অবদান রয়েছে, তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই আমাদের জয়ের মূল কারণ'।
কর্ণাটকে, কংগ্রেস সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনীত করেছেন। ডি কে শিবকুমারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন কেসি ভেনুগোপাল এবং জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলন করে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই নিয়ে কর্ণাটকে নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের ৪ দিন পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে সাসপেন্স-এর অবসান ঘটে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথোপকথনে রণদীপ সুরজেওয়ালা সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের মধ্যে পারস্পরিক অসন্তোষ সম্পর্কে বলেন, 'দলীয় নেতৃত্ব বিশ্বাস করে যে উভয় নেতাকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। আমরা চেয়েছিলাম ১১ জনের দল রাজ্য চালাতে, ১ জনের দল নয়'।
কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরজেওয়ালা আরও বলেন, 'উভয় নেতাই খুশি, কিন্তু সিদ্দারামাইয়া পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে থাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি। ডিকে শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাগাভাগি চুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে 'মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন' এর একটি রফা সূত্র নির্ধারত হয়েছে । সিদ্দারামাইয়া ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে থাকবেন কিনা জানতে চাইলে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, "ক্ষমতা ভাগাভাগির একমাত্র ফর্মুলা হল কর্ণাটকের জনগণকে সেবা করা।" ডি কে শিবকুমার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতে অনড় ছিলেন, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি ডেপুটি সিএম পদ গ্রহণে রাজি হন।
সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার দুজনেই যথেষ্ট যোগ্য: রণদীপ সুরজেওয়ালা
কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য। কর্ণাটকে বিজেপির বিপরীতে, কংগ্রেসের সব স্তরে নেতা রয়েছে, যাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই আমাদের জয়ের মূল কারণ। (কংগ্রেস সভাপতি) মল্লিকার্জুন খার্গের দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদাই ছিল এবং সর্বদাই একমত, ঐক্যমত্য এবং ঐক্যের। তারা আড়াই দিন ধরে বিস্তারিত আলোচনার পর অবশেষে দল সঠিক সিদ্ধান্তে এসেছে। লক্ষণীয়ভাবে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এটি হবে সিদ্দারামাইয়ার দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে, তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।