Advertisment

‘‘চেনা পরিচিতদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটির কারণেই ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়ে থাকে’’

ধর্ষণের অভিযোগ কেন হয়? কারা করে? এ সব বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে হরিয়ানায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ পরিসংখ্যানগতভাবেই ক্রমবর্ধমান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হরিয়ানায় বছর বছর বাড়ছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ

দুজন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক না টিঁকলে পুরুষটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হতে পারে। বিতর্কিত এই মন্তব্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের।

Advertisment

সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওয় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অধিকাংশ ধর্ষণের মামলায় ধর্ষিতা মহিলা অভিযুক্তের পরিচিত এবং ঝগড়াঝাঁটির ফলেই ধর্ষমের অভিযোগ রুজু করা হয়।

আরও পড়ুন, ‘নির্যাতিত’ পুরুষদের রক্ষা করতে পিশাচিনী যজ্ঞ

খট্টর বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল যে এই ধর্ষণ বা হেনস্থার ঘটনায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নিগৃহীতা মহিলা অভিযুক্তের পূর্বপরিচিত। তারা এক সঙ্গে সময়েও কাটিয়েছে। যখনই তাদের মধ্যে ঝগড়া বা ঝামেলা হয়, তখনই ‘নিগৃহীতা’ তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে।’’

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন ‘নারীবিরোধী মানসিকতা’ নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এ নিয়ে টুইট করে এই কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, রাজ্যে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঠেকাতে না পেরে এ সব যুক্তির আশ্রয় নিচ্ছেন খট্টর।

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ২০১৬ সালের NCRB পরিসংখ্যান তুলে দেখিয়েছিল গুরগাঁও ও ফরিদাবাদে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ হরিয়ানার ক্রমবর্ধমান এ ধরনের অপরাধকে প্রতিফলিত করে। সে বছর ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ১১৮৭ টি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল। এর মধ্যে ৯৯৬ টি ছিল ধর্ষণের ঘটনা এবং ১৯১টি গণধর্ষণের ঘটনা। এর মধ্যে ৫১৮ জন নিগৃহীতাই নাবালিকা। ২০১৪ সাল থেকেই এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৪ সালে এ ধরনের অপরাধের মামলা রুজু হয়েছিল ৯০১০টি, ২০১৫ সালে ৯৫১১টি, এবং ২০১৬ সালে ৯৮৩৯টি।

Read the Full Story in English

rape
Advertisment