Advertisment

কাজরীর জয়ে কাঁটা রতন? মমতার ভ্রাতৃবধূর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর

'এলাকার মানুষের জন্য দাঁড়ালাম। অনেকেই আমাকে প্রচুরবার ফোন করে দাঁড়াতে বলেছেন। সেই কারণে মনোনয়ন জমার শেষ দিন সিদ্ধান্ত নিলাম ভোটে দাঁড়াবার।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ratan malakar becomes independent candidate in mamata banerjees ward against kajari banerjee

ভোট যুদ্ধে কাজরীদেবীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে রতন মালাকার।

জমে ওঠার পথে কলকাতা পুরনিগমের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের লড়াই। এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূর বিরুদ্ধে প্রার্থী গত দু'বারের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর রতন মালাকার।

Advertisment

দুয়ারে কলকাতা পুরনিগমের ভোট। নজরে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। কারণ এই ওয়ার্ডেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। ঘাস-ফুলের প্রতীকে লড়াইয়ে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ পড়েছেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গত দু'বারের কাউন্সিলর রতন মালাকার, যিনি 'দিদি'র অত্যন্ত বিশ্বস্তদের তালিকার অন্যতম।

কেন পুরযুদ্ধে শামিল হলেন রতনবাবু? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী বলেন, 'এলাকার মানুষের জন্য দাঁড়ালাম। ওঁদের অনেকেই আমাকে প্রচুরবার ফোন করে দাঁড়াতে বলেছেন। সেই কারণে মনোনয়ন জমার শেষ দিন সিদ্ধান্ত নিলাম ভোটে দাঁড়াবার।'

নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলকে জানিয়েছেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দলপ্রার্থী? রতন মালাকারের দাবি, 'আমি নিজে থেকে দলকে কিছু বলিনি। দলের তরফেও আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।'

৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনপ্রিয় মুখ রতনবাবু। তাহলে কী মমতার ভাতৃবধূর ওয়ার্ডে এবার কাঁটা মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বস্ত সৈনিক? মনোনয়ন জমার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে রতন মালাকার বলেন, 'জয়ের কতটা সম্ভাবনা রয়েছে আমি বলতে পারবো না। মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই হবে।' উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর হবে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থীদের স্ক্রুটিনি। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

'দিদি' মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বললে তিনি কী তা পালন করবেন? পুরযুদ্ধে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী রত মালাকারের দাবি, 'মানুষের জোরাজুরিতেই ভোট দাঁড়ালাম। প্রত্যাহারের বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। কারণ আমি তো একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছি।'

টিকিট পেয়েই প্রচারের ঝাঁপিয়েছেন কাজরীদেবী। এবার প্রচার শুরুর পথে নির্দল প্রার্থী রতন মালাকারও। তাই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে একুশের পুরযুদ্ধে 'খেলা হবে' বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

গতবারের ৩৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে বাদ দিয়েই এবার কলকাতার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধদের তালিকা বাড়ছে। ৮ নম্ব ওয়ার্ডের পার্থ মিত্র দল বদলে কংগ্রেসের মনোনয়নও পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ভোলবদল করেন। ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন তিনিই তৃণমূলেই রয়েছেন। ভবানীপুর বিধানসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান মির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে গতবার বিজেপির অসীম বসুর কাছে পরাজিত হয় সচ্চিদানন্দবাবু। পরে অসীম বসু তৃণমূলে যোগদেন। এবারও ওই কেন্দ্রে ঘাস-ফুল প্রার্থী তিনি। অন্যদিকে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থীকে নিয়ে স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। কালীঘাটে এসে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদও করেছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Mamata Banerjee KMC KMC Poll
Advertisment