রাজ্যের দুটি পুরসভার দুটি বুথে মঙ্গলবার পুনর্নির্বাচন হবে। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নং বুথ ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নং বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কথার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কমিশন।
১০৮ পুরসভার প্রায় ১১ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে রবিবার। কমিশনের নীরবতা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ভোটে শাসক দল কারচুপি, রিগিং, বল প্রয়োগ তথা সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করেছিল বলে সোচ্চার বিরোধী শিবির। ভোট বাতিলের দাবি করেছে বিজেপি। গণতন্ত্রের নামে 'লজ্জা' বলে সরব বাকিরা। বাংলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে গতকালই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সোমবার তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
এরপরই কমিশনারকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কেন ভোটের দিন গন্ডগোল হল?, ইভিএম ভাঙল?, প্রার্থীরা মার খেল? তা কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করেন জগদীপ ধনকড়। রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও কমিশনারকে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, সন্ত্রাসের অভইযোগ যেসব জায়গা থেকে মিলেছে সেখানে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক কমিশন।
এরপরই কমিশন দফতরে ফিরে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দত্ত। পরে কমিশন জানায়, রাজ্যের দুটি পুরসভার দুটি বুথে মঙ্গলবার পুনর্নির্বাচন হবে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। যেখানে কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ২৭টি ইভিএম ভেঙেছে, ১৪০০-র বেশি অভিযোগ নথিভূক্ত হয়েছে, সেখানে কেন মাত্র ২টি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে? কমিশনের ঘোষণা নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মমতা ব্যানার্জী যা বলেছেন কমিশন সেই ঘোষণা করেছেন। এটা না করলেও হতো।' সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'হাস্যকর, নির্লজ্জ। কমিশন প্রমাণ করছে শাসক দলের সঙ্গে এক হয়ে কাজ চলছে।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলায় শাসকের আইন চলছে। কমিশন মেরুদণ্ডহীন এক সংস্থায় পরিণত হয়েছে।'