সিএএ-এনআরসি-এনপিআর ইস্যুতে আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ির সভা থেকে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-এনআরসি-এনপিআর নিয়ে রাজ্যবাসীকে ভয় না পাওয়ার কথা বলেন। জানান, রাজ্যের সব উদ্বাস্তু কলোনিগুলোকে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে গেরুয়া শিবিরকে এ দিন তীব্র আক্রমণ শানান মমতা। বলেন, 'বিজেপি বাংলাকে গুজরাটের মত দাঙ্গাকারী রাজ্যে রূপান্তরের চেষ্টা করছে।' রাষ্ট্রপতি সাসন জারি করার উদ্দেশেই তাদের এহেন কাজ বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি বলেন, 'ওরা নতুন একটা ধর্ম এনেছে, দাঙ্গা ধর্ম।'
জলপাইগুড়ির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গহত বৃহস্পতিবার ডামন্ড হারবারে যাওয়ার পথে শিয়াকোলে হামলার মুখে পড়েছিল সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে। এ প্রসঙ্গে এ দিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান, 'কেন একজন অপরাধী ওই কনভয়ে ছিল?' আইপিএসদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে পাঠানোকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে বা আইপিএসদের বদলি করে যদি ওরা ভাবে আমাকে ভয় দেখাবে , তবে ওরা ভুল করছে।' নাড্ডার কনভয়ে কেউ হামলা চালাতে চায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে এ দিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'কেন ওই কনভয়ে এতগুলো গাড়ি ছিল? কেন একজন অপরাধী ওদের সঙ্গে ছিল। যে গত বছর ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভেঙেছে সে কেন কনভয়ে ছিল? অপরাধী ঘুরে বেড়াচ্চে দেখে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিল। তারপরই একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে।'
আইপিএসদের ডেকে পাঠিয়ে মোদী সরকার রাজ্যের এক্তিয়ারে বস্তক্ষেপ করছে বলেও তোপ দাগেন মমতা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনগণমন-র যে সংস্করণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ গ্রহণ করেছিল, সেটিই জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করা হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সম্প্রতি এই দাবি করেছেন। যা নিয়ে এ দিন জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'এটা হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। উচিত শিক্ষা দিতে বাংলা পিছ পা হবে না।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন