যত দিন যাচ্ছে, তত রাজ্যপালের প্রতি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল এই সাংসদ এবার জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে থানায় ডায়রি করার নিদান দিলেন। এদিন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘"রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় থানায় ডাইরি করুন। যা নিয়ে এখন কিছু হবে না। যেদিন মেয়াদ শেষ হবে, সেদিনই ব্যবস্থা হবে। ওঁকে ঢোকানো হবে প্রেসিডেন্সি জেলেই। "
তিনি আরও বলেছেন, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সেটা আমি জানি। কিন্তু এখন থেকেই থানায় থানায় ডায়রি করে রাখুন। ওর মেয়াদ শেষ হলেই ব্যবস্থা হবে। এই কেসগুলো খোলা হবে।‘
যদিও তৃণমূল সংবিধান মানে না বলে এদিন কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আইনিজীবী হয়ে, সরকারের হয়ে একাধিক মামলা লড়ে কীভাবে এই কথা বলতে পারে? বোঝাই যাচ্ছে সংবিধানে আস্থা নেই শাসক দলের।‘
এদিকে, নারদা-কাণ্ডে দলের নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতারির দিনে বেনজির ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জগদীপ ধনকড়কে ‘রক্তচোষা’, ‘পাগলা কুকুর’ বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কল্যাণের মন্তব্য ছিল, ‘রাজ্যপাল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। রাজ্যপাল বিজেপি-র পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। রাজ্যপাল মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন না কেন? রাজ্যপাল বিজেপি-র কথা শুনছেন। রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শই করেননি।’
গ্রেফতার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ভঙ্গ করা হয়েছে বলে দাবি কল্যণের। ধনখড়কে আক্রমণ করে কল্যাণের বক্তব্য, ‘২০১৬-র মামলা। এখন কেন গ্রেফতার করতে হল? এই রাজ্যপাল রক্তচোষা, পাগলা কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’’