ভোট চাওয়ার জন্য ধর্মের ব্যবহারের নিন্দা করে, ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টির (ডিপিএপি) চেয়ারম্যান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের (জেঅ্যান্ডকে) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ বলেছেন যে রাজনীতিতে যে ধর্মের আশ্রয় নেয়, সে 'দুর্বল'। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ডোডা জেলার চিরালার এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আজাদ জোরের সঙ্গে জানান যে ভারতে মুসলমানরা বাইরে থেকে আসেননি। তাঁদের বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায় থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে প্রায় ১,৫০০ বছর আগে ইসলামের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। আর, হিন্দু ধর্ম বহু পুরোনো। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজাদ বলেছেন, 'দশ-বারাহ লোগ জো উস ওয়াক্ত মুঘলন কি ফৌজ মে হোঙ্গে, ওহ বাহার সে আয়ে হোঙ্গে, বাকি তো সব হিন্দুও সে হি কনভার্ট হুয়ে হ্যাঁয়।' প্রবীণ নেতা কাশ্মীরের উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, '৬০০ সাল পহেলে কউন মুসলিম থা ওয়াহাঁ (কাশ্মীরে)? সব কে সব কাশ্মীরি পণ্ডিত থি। ফির ওহ মুসলিম বন গ্যয়ে।' হিন্দু এবং মুসলমান উভয়ই মৃত্যুর পরে ভারতের মাটিতে মিশে যায়। আর, সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে আজাদের প্রশ্ন, 'তাহলে তাদের মধ্যে পার্থক্য কী?'
তার মন্তব্যের উল্লেখ করে, জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা আলাদা জম্মু রাজ্যের দাবির একজন পরিচিত সমর্থক অধ্যাপক হরি ওম একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিজ্ঞাসা করেছেন, 'কেন তিনি (আজাদ) এই বিবৃতি দিয়েছেন? তিনি কি ভোটের জন্য নির্বোধ হিন্দুদের বোকা বানাচ্ছেন এবং বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধছেন? বিবেচনা কর।'
আরও পড়ুন- হিমাচলের সাম্প্রতিকতম ধস কি বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত, কী বলছে ইতিহাস?
জম্মু-কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সফরের সময় আজাদ বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেছেন যে তিনি ভোট চাইছেন না। কারণ, বিধানসভা নির্বাচন একেবারে গায়েগায়ে ছিল না। যাইহোক, আগামী মাসগুলোতে কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচিত নাগরিক এবং পঞ্চায়েত সংস্থাগুলোর পাঁচ বছরের মেয়াদের সমাপ্তি ঘটবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে বর্তমান পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর। পঞ্চায়েতগুলোর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি।