আমফান ক্ষতিপূরণের দুর্নীতির ঝড়ে কাঁপছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গরিবগুর্বো মানুষগুলোর সরকারি সাহায্য জোটেনি। কিন্তু দুতলা-তিন বাড়ির মালিক ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভারিভুরি অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, "২০০ জনকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকেই আমফানের ক্ষতিপূরণের সরকারি সাহায্য নিয়ে স্বজন পোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চলছে বিক্ষোভ, অশান্তি। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামেও ক্ষোভ- বিক্ষোভ হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন একাধিক তৃনমুল নেতা। এখানকার সামসাবাদ, ভেকুটিয়া, কেন্দামারি-জালপাই, মহম্মদপুর, আমদাবাদ-২-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় অভিযোগের অন্ত নেই।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরের “দিদিকে বলো” কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে “বাপ কে বলো”
বিরোধী দল ছাড়াও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তৃণমূলের জেলা পরিষদের পদাধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির কর্তা, পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, বুথ ও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আসতেই খুঁটিয়ে স্ক্রিনিং শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মেঘনাদ পালকে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। স্পষ্ট নির্দেশ যায় কাউকে রেয়াত করা যাবে না। দল অভিযুক্তদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে ২০০ জনকে শোকজ করা হয়।
টাকা ফেরতের সঙ্গে সঙ্গে শোকজের জবাব আসতে শুরু করেছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, "আমফানে যেসব উপভোক্তার সরকারি সাহায্য পাওয়া উচিত নয় তাদের অর্থ পাইয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ২০০ জনকে দল শোকজ করেছে। এর মধ্যে অনেক পদাধিকারী আছেন। যাদের পাকা বাড়ি আছে টাকা নিয়েছিলেন তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। শনিবার ১২ টা অবধি ৫৫ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। সোমবার বাকিরা টাকা ফেরত দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। নেত্রী অনুমোদন করলে অনেককেই তাদের পদ থেকে সরানো হবে। সারা জেলায় এরকম ব্যবস্থা হবে। যারা ভুল করেছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।" জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শোকজের চিঠি পাওয়া নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবে দলীয় নেতৃত্ব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন