ষোল'তম মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই প্রবল বিতর্ক। বিজেপি জিতলেও খলনলচে পাল্টে গিয়েছে রাজ্যমন্ত্রিসভার। বদল করা হয়েছে স্পিকারও। এরপরই অধিবেশনের প্রথম দিনেই দেখা যায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বিধানসভা কক্ষ থেকে। তার বদলে সেখানে বসানো হয়েছে সংবিধান রচইতা বি আর আম্বেদকরের ছবি। স্পিকারের চেয়ারের ঠিক পিছনেই সেই ছবি জ্বলজ্বল করছে। নেহেরুর বদলে আম্বেদনকরের ছবি ঘিরেই তৈরি্ হয়েছে বিতর্ক।
কংগ্রেস নেতৃত্ব বিধানসভার অন্দরে বি আর আম্বেদকরের ছবিকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু, নেহেরুর ছবি বাদ দিয়ে কেন এই পদক্ষেপ? সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিরোধী হাত শিবিরের অভিযোগ এই পদক্ষেপ আসলে, 'ইতিহাস পরিবর্তন করার জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্র'। কংগ্রেসের চুরহাটের বিধায়ক অজয় সিং বলেছেন, 'আমরা বি আর আম্বেদকরের ছবি দেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই, তবে এটি অত্যন্ত আপত্তিজনক যে ওরা নেহরুর ছবি সরিয়ে দিয়েছে। নেহেরু একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং ভারতের প্রতি তাঁর অবদানকে এভাবে উপেক্ষা করা যায় না। আমরা আবার বিধানসভা কক্ষে নেহরুর ছবি লাগানোর দাবি তুলব।' এক্সবার্তায় কংগ্রেসের মুখপাত্র পীযূষ বাবেলের দাবি, নেহেরু এবং মহাত্মা গান্ধীর পাশাপাশি বিধানসভা কক্ষে আম্বেদকরের ছবি রাখা উচিত ছিল।
তবে সরকারি আমলাদের মতে, নেহেরুর ছবিটি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় ডঃ বি আর আম্বেদকরের ছবি লাগানো হয়েছে।
এ দিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই প্রো-টেম স্পিকার গোপাল ভার্গব বিধানসভার নবনির্বাচিত সদস্যদের স্বাগত জানান। এরপরই সদস্যদের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তারপরই শুরু হয় ছবি বদল বিতর্ক। তবে কী কারণে বিধানসভা থেকে নেহরুর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা এখনও প্রো-টেম স্পিকার স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন- কল্যাণ ভেঙাচ্ছেন ধনখড়কে, ভিডিয়ো করছেন রাহুল! চরম বিতর্কে মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি