এঁরা আজও আঙ্গুলে কালি লাগানোকে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে মনে করেন। তাই কেউ ডাকল কী ডাকল না, তাতে এঁদের কিছু যায় আসে না। হাঁটতে হাঁটতেই হাসি মুখে এঁরা পৌঁছে যান বুথে। বুথ থেকে বেরনোর পর যেন সেই হাসি আরও চওড়া হয়ে যায়। ভোটের ময়দানে রেণুবালা দেবীরাই আসল আইকন।
সোমবারের বারবেলায় সারাঙ্গাবাদ হাইস্কুলে দেখা রেণুবালা মন্ডলের সঙ্গে। কে রেণুবালা? সরাঙ্গাবাদেরই বাসিন্দা। নিতান্তই সাধারন নাগরিক। তবে অশীতিপর রেণুবালা দেবী কখনও ভোট ‘মিস’ করেননি। বরাবর নিজে হেঁটে এসেছেন বুথে। তাঁর বক্তব্য়, "ভোট দেওয়া আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। কেন একটা ভোট নষ্ট করব?" ভোটটা কাকে দিলেন? সপাটে জবাব, "বলব কেন? ওটা বলতে নেই।"
রেণুবালার আঙুলে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের নিদর্শন (ফোটো- শশী ঘোষ)
রাজ্য়ের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের পাড়ার বাসিন্দা রেণুবালা দেবী। এদিনের ভ্য়াপসা গরমে ওই দুপুরে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। তবু কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর। রেণুবালার বক্তব্য়, গণতন্ত্র রক্ষা করতে গেলে ভোট দেওয়া প্রয়োজন। গরম হোক বা শীত, কোনও কিছুতে যায় আসে না। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য়, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজেকে সামিল করা।
ভোট দেওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটা অনীহা থাকে। হয়ত সারাটা দিন আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিলেও বুথের দোরগোড়ায় যান না অনেক 'দায়িত্বশীল' ভোটার। সেখানে এই রেণুবালারা নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় উদাহরন হতে পারেন। বয়স কোনও ফ্য়াক্টর নয়। ইচ্ছাশক্তিই যে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন তাই যেন প্রমান করলেন মহেশতলার সারাঙ্গাবাদের রেণুবালা।