আলোচনা ছাড়াই সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রকে 'আতঙ্কগ্রস্ত' বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, 'বিতর্ক ছাড়াই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে বোঝা গেল যে সরকার আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে এবং ওঁরা জানেন যে কিছু ভুল হয়ে গিয়েছিল।'
Advertisment
আজই সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন নিয়ে তুমুল হট্টগোলের আশঙ্কা ছিল। যা আঁচ করে আগেভাগেই বিরোধীদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদীরআবেদনে কর্ণপাত করেননি বিরোধী সাসংসদরা। তুমুল হইহট্টগোল শুরু করেন তাঁরা। ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে অধিবেশন ফের শুরু হলে লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিল পেশ করেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তুমুল হইচইয়ের মধ্যেও আলোচনা ছাড়াই ধ্বনি ভোটে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়ে যায়।
কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছিলেন। শেষমেশ গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাসের পর রাহুল গান্ধী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতেই হতো, এই ভবিষ্যদ্বাণী তাঁদের দলই সবার আগে করেছিল। এপ্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, 'তিন-চার জন পুঁজিবাদীর শক্তি কৃষক ও শ্রমিকদের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না।' কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস কৃষকদের পাশাপাশি গোটা দেশের কাছেই বড় জয় বলে মনে করেন রাহুল গান্ধী।
Advertisment
আরও পড়ুন- বিরোধী হইচইয়ের মধ্যেই লোকসভায় পাস কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, হল না আলোচনা
তবে আলোচনা ছাড়া এদিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মনে করেন রাহুল গান্ধী। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল কোনও আলোচনা ছাড়াই বিলগুলি বাতিল করা হয়েছে। আমরা এই বিলগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কারণ এই বিলগুলি কেবল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিই তুলে ধরে না, তাঁর পিছনের শক্তিগুলিকেও প্রতিফলিত করে। সেদিকটি সম্পর্কেই আমরা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম।”
এদিন সংসদে বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মাঝেই ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাস হয়েছে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, “আমরা এমএসপি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। এই আন্দোলনে মারা যাওয়া ৭০০ কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সেই আলোচনার অনুমতিই দেওয়া হয়নি।”