Advertisment

সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলরের বিজেপিতে যোগদান

এই ধরণের যোগদান আরও হবে বলে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর। বর্তমানে দলের তরফে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এলাকায় লড়াকু নেত্রী হিসাবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। জোড়া-ফুলের প্রবল প্রতাপের মাঝেও ২০১৫ সালে ১০২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয় হাসিল করেছিলেন তিনি। ভোটের কয়েক মাস আগে এহেন কাউন্সিলরের দলত্যাগ বাম শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

কাউন্সিলর হওয়ার আগেই লোকসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে রিঙ্কুকে প্রার্থী করেছিল সিপিএম। তবে, চৌধুরী মোহন জাটুয়ার কাছে হারতে হয় তাঁকে। পরে দল যাদবপুরের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে রিঙ্কুকে কাউন্সিলর পদে লড়ার টিকিট দেয়। দলের অন্দরেও যুব নেত্রী হিসাবে তাঁর নামডাক ছিল। তাহলে কেন কাস্তে হাতুড়ি ছেড়ে পুদ্ম শিবিরের ভিড়লেন তিনি? এক্ষেত্রে ঘনিষ্ট মহলে প্রাক্তন দলের আদর্শহীনতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। কংগ্রেস-বামেদর জোটকেও মানতে পারেননি রিঙ্কু। তাঁর স্বামী মানস মুখোপাধ্যায় আগেই পদ্মে যোগ দিয়েছেন।

রিঙ্কুর সঙ্গেই এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁর বহু অনুগামী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রিঙ্কু নস্করের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। দিলীপবাবুর কথায়, 'যাঁদের কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু অন্য দলে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন তাঁদের জন্য বিজেপির দ্বার খোলা রয়েছে। অন্যান্য দল থেকে প্রায় প্রায় ৩০০ কর্মী এদিন পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছে। আরও অনেকেই যোগাযোগ করছেন বিজেপিতে যোগদানের জন্য।'

প্রসঙ্গত, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ-সহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে এদিন দলের সাংগঠনিক বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের কর্মসূচির পরিকল্পনা বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গোটা রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দলীয় সংগঠনের ভার দেওয়া হয়েছে দলের ৫ গুরুত্বপূর্ণ ভোট ম্যানেজারকে। বৈঠক শেষে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেছেন, 'বিভিন্ন বুথে যেসব কর্মী বসে গিয়েছিলেন তাঁদের আবার সম্মান দিয়ে সামনের সারিতে এনে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেকটি বুথে দলীয় কর্মসূচি থাকবে। সংগঠন পোক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment