Advertisment

ভাঙনের মুখে বিহারের মহাজোট? আরজেডি নেতার মন্তব্যে জল্পনা

জোটের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের দিকে ঠেলছে আরজেডি। বেসুর মহাজোটের বড় শরিক। কড়া আক্রমণের মুখে কংগ্রেস। আর তাতেই জোটের ভবিষ্যত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তীরে এসে তরী ডুবেছে। ভাল ফল করেও বিহারের কুর্সি অধরা থেকেছে আরজেডির। নিরাশজনক ফলাফল কংগ্রেসের। আর তাতেই শরির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে তেজস্বীর দলের নেতাদের। মহাজোটের ব্যর্থতার জন্য শতাব্দী প্রাচীন পুরনো দলের ঘাড়েই দায় ঠেলছেন আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। তাঁর মতে, যেভাবে কংগ্রেস চলেছে, তাতে বিজেপির সুবিধা হচ্ছে।

Advertisment

খারাপ ফল নিয়ে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেছে আরজেডি। আরজেডির ধারণা কংগ্রেস এমনসব প্রার্থী নির্বাচন করেছে যাঁরা বিহারের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত নন। তারা ৭০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কিন্তু ৭০ টি সভা করেনি। রাহুল গান্ধী তিন দিন এসেছিলেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা গান্ধী একদিনও আসেননি। যাঁরা বিহারের সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁরাই প্রচারে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আরজেডির নেতা শিবানন্দ তিওয়ারির। ভোট চলাকালীন রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কার সিমলার বাড়িতে পিকনিক করছিলেন বলেও তোপ দেগেছেন লালুপ্রসাদ ঘনিষ্ট এই বর্ষীয়ান নেতা।

আরজেডি ৭৫টি আসন পেয়ে প্রথম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিহারে। তার পরই ৭৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস যদি এই নির্বাচনে আরও গুরুত্ব দিয়ে লড়াই করত, তা হলে আজ বিহারে মহাগঠবন্ধনেরই সরকার হত বলে মনে করেন শিবানন্দ। কিন্তু কংগ্রেস মহাগঠবন্ধনের ‘পায়ের বেড়ি’ হয়ে দাঁড়াল বলেই অভিযোগ আরজেডি নেতার।

শুধু বিহারের ক্ষেত্রে হয়েছে এমনটা হয়েছে তা নয় বলেই মন্তব্য করেন শিবানন্দ। তিনি বলেন, “অন্য রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে কংগ্রেস। তারা প্রার্থী দিয়েছে বেশি, অথচ জিতেছে খুব কম আসনে। কংগ্রেস যদি এ ভাবেই দল চালাতে থাকে, তা হলে আখেরে বিজেপি-রই সুবিধা হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠবে।” বিষয়টি নিয়ে এখনই কংগ্রেস নেতৃত্বের চিন্তাভাবনা করা উচিত বলেই মত শিবানন্দের।

শরিক আরজেডি নেতার এহেন মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। দলের এআইসিসি মিডিয়া প্যানেলের সদস্য প্রেম চন্দ্র মিশ্রার কথায়, 'আরজেডির মুখপাত্র নন উনি। এছাড়া জোট ধর্ম ভুলে যেসব বলছেন তা অনেকটা গিরিরাজ সিংয়ের কথার মত শোনাচ্ছে।' কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক তারেক আনওয়ার রাহুল গান্ধীর ঢাল হয়ে বলেছেন, একটি জাতীয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কখনওই রাজ্যস্তরের নির্বাচনে বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আঞ্চলিক নেতারাই দায়িত্ব সামলান।

আরজেডির মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন শিবানন্দ তিওয়ারির বক্তব্যকে 'ব্যক্তিগত' বলে দায় এড়িয়েছেন। তবে আরডেজিতে ক্ষোভ যেভাবে বাড়ছে তাতে মহাজোট অটুট থাকবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS rahul gandhi bihar RJD
Advertisment