এতদিন বামপন্থীদের বেঁচে থাকার রসদই ছিল পথে নেমে আন্দোলন করা। ইদানীং ময়দানের রাজনীতি প্রায় ভুলতে বসেছে সিপিএম-সহ অন্য় বামদলগুলি। শেষমেশ আজ সিপিএমের প্রমীলা বাহিনী রাস্তায় নেমে মান রাখলেন বামেদের। আজ দুপুরে রাণি রাসমনি রোড এবং রাজ ভবনের পাশের রাস্তা অবরোধ করলেন মহিলা ফৌজ। অবরোধ তুলতে মহিলা পুলিশের সঙ্গে চলল ব্য়াপক ধ্বস্তাধ্বস্তি। ছিঁড়ল পোষাক। এর জেরে ধর্মতলার আশপাশের রাস্তায় যানজটে থমকে গেল ট্র্যাফিক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে সোমবার থেকেই ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির নীচে অবস্থান শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি। গতকাল রাতেও সদস্যারা অবস্থান চালিয়ে যান। এই বিক্ষোভ অবস্থানে হাজির ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে আক্রান্ত মহিলা এবং মৃতদের পরিবারের সদস্য়রা। প্রতিবাদের অগ্রভাগে ছিলেন মহিলা সমিতির নেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য, কণিনীকা ঘোষ, অঞ্জু কর, মিনতি ঘোষ।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ মহিলা সমিতির অবস্থান বিক্ষোভ শেষে মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিল রাণি রাসমনি রোডে গেলে ব্য়ারিকেড করে আটকায় পুলিশ। তা সত্ত্বেও পাশের পুলিশ ব্য়ারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। নেতাজি মূর্তির কাছে বিধানসভা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন সমিতির সদস্যারা। সেই সময় যথেষ্ট মহিলা পুলিশ না থাকায় অবরোধ তুলতে পারেনি পুলিশ। পরে মহিলা পুলিশ কর্মীরা এসে অবস্থানকারীদের হটিয়ে দেন।
এই সময় মহিলা সমিতির আরেকটি দল অবরোধ শুরু করে দেয় রাণি রাসমনি রোডে। এবার অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশ ভ্য়ানে তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলা সমিতির দাবি, তাদের মিছিল রাণি রাসমনিতে শেষ করার কথাই ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ব্য়ারিকেড করে বাধ্য় করে পথ অবরোধ করতে।