ব্রিটেনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধীকে ইতিমধ্যেই ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। পদ্মশিবির সাফ জানিয়েছে তিনি তা না করলে তার বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের মত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিজেপি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে এবং রাহুলকে সংসদ থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধী ব্রিটেনে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা দেশের পক্ষে অপমানজনক। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। কিছু মানুষ দেশের সম্মানের কথা চিন্তা না করেই এমন কথা বলেন, অবিলম্বে এই মন্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান তিনি।এদিকে, রাহুল গান্ধী সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে তিনি দেশবিরোধী কোন কথা বলেননি।
তিনি বলেন, অনুমতি পেলে সংসদে এ বিষয়ে কথা বলবেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন ক্ষমা না চাওয়ায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পথেই এগোতে চলেছে দল। গণতন্ত্র এবং প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে আরও বলেন, 'রাহুল গান্ধী ক্রমাগত বিদেশের মাটিতে দেশের মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছেন। এ কারণে তাকে সংসদ থেকে তাকে সরানোর সময় এসেছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সংসদ ভবনে আট সিনিয়র মন্ত্রীর বৈঠক হয়। যাতে আগামী দিনে রাহুলের বিরুদ্ধে এই বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না। রাহুল গান্ধীকে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিজেপির তরফে বারবার দাবি উঠেছে।
বিদেশ থেকে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, "তিনি সংসদে বিজেপির অভিযোগের জবাব দিতে চায়, তবে তিনি মনে করে না যে হাউসে তার বলার কোন সুযোগ দেবে পদ্মশিবির। রাহুল বলেন, "চার মন্ত্রীর তরফে সংসদে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই এটি জবাব দেওয়া আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।"