অধিবেশন শুরুর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তারপরও বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যাহ্নভোজের আগে রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৮ মিনিটের মধ্যেই তা স্থগিত করতে হয়েছে। শাসক বিজেপি আর বিরোধী কংগ্রেস দলের উভয়কক্ষের সাংসদরা পরস্পরের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ব্রিটেনে গিয়ে, 'গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদ' ইস্যুতে মন্তব্য করেছিলেন। সেই নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন উভয়কক্ষের সাংসদরা। শুধু তাই নয়। বিরোধী সাংসদরা আবার আদানি গ্রুপ ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিও জানান। যাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
দুই পক্ষই গোটা ঘটনায় 'অনড় অবস্থান' নেয়। যার জেরে অধিবেশন কক্ষ জনগণের কাছে মোটেও ভালো বার্তা পাঠাচ্ছে না, এই অভিযোগে ধনখড় দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করে দেন। এর আগে তিনি ২৬৭ ধারার অধীনে আলোচনা চেয়ে ১২টি নোটিস প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ওই নোটিসে দিনের কার্যকলাপকে স্থগিত রেখে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে আলোচনার দাবি তোলা হয়েছিল।
এর আগে দু'দিনের জন্য মুলতুবি ছিল রাজ্যসভার অধিবেশন। সেই পরিস্থিতিতে অধিবেশন নতুন করে শুরুর আগে চেয়ারম্যান ধনখড় রাজ্যসভার বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকের লক্ষ্য ছিল, বিজেপি আর বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানো। ধনখড়ের কক্ষে সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, প্রহ্লাদ জোশী, অর্জুনরাম মেঘওয়াল, ভি মুরলীধরন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল গান্ধী, তাঁর সাংসদপদ কি খারিজ হবে?
বৈঠকের আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, 'আমি বৈঠকে যাচ্ছি। আমরা দেখব, চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বৈঠকে ঠিক কী বলেন।' এই বৈঠকের আগে সংসদে খাড়গের কার্যালয়ে বিরোধী দলের একাধিক নেতা বৈঠক করেন। তবে, অচলাবস্থা কাটানোর বৈঠক যে ব্যর্থ হয়েছে, তা অধিবেশন মুলতুবি হওয়াই স্পষ্ট করে দিয়েছে।