'হিন্দুফোবিয়া' বানিয়ে বিশ্বজুড়ে ভারতীয়দের বিকাশ রুখতে সক্রিয় চক্র, ফাঁস পাঞ্চজন্যে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে হিন্দুদের তদন্তের মুখে ফেলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে হিন্দুদের তদন্তের মুখে ফেলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Seattle City

ক্ষমা সাওয়ান্ত ছবি- এএনআই

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল নগর পরিষদের সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করল আরএসএস মুখপত্র পাঞ্চজন্য। সম্প্রতি সিয়াটল নগর পরিষদ বৈষম্যবিরোধী আইনের মধ্যে জাতপাতের বৈষম্যকেও যুক্ত করেছে। নগর পরিষদে এই ব্যাপারে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ক্ষমা সাওয়ান্ত নামে অনাবাসী এক ভারতীয় মহিলা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সিয়াটলের জনপ্রতিনিধি।

Advertisment

ক্ষমা সাওয়ান্তের সেই প্রস্তাবেরই বিরোধিতা করেছে আরএসএস মুখপত্র পাঞ্চজন্য। কারণ, আরএসএস বোঝাতে চেয়েছে, এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের জাতপাত কোনও গুরুত্ব রাখে না। সেই কারণে প্রস্তাবটি আনা হয়েছে, স্রেফ 'হিন্দুফোবিয়া' তৈরির জন্য। এমনটাই মনে করছে আরএসএস।

এই ব্যাপারে আরএসএসের ধারণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় প্রতিভার অগ্রগতি ঘটছে। সেটা অনেকে সহ্য করতে পারছে না। সেই কারণেই 'হিন্দুফোবিয়া' তৈরির চেষ্টা চলছে। আরএসএসের এই মুখপত্র পাঞ্চজন্য একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। এই পত্রিকার সম্পাদক হিতেশ শংকর। তিনি লিখেছেন, 'একটি জাতিবিরোধী প্রস্তাব পাশ করে সিয়াটল সিটি কাউন্সিল প্রমাণ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাতিষ্ঠানিকস্তরে হিন্দুফোবিয়া প্রচার করা হচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী আইনের নামে হিন্দুদের নিশানা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যত্র হিন্দুদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টির করার হাতিয়ার মাত্র।

Advertisment

আরও পড়ুন- শরণার্থী নিয়ে সুনাকের দাওয়াইয়ে চোখ কপালে সকলের, ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ রাষ্ট্রসংঘ

এই প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘু এবং বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য পরিচিত হিন্দুদের তদন্তের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে।' আরএসএসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দুফোবিয়া বৃদ্ধির গতি এবং এর পিছনে অর্থায়ন উদ্বেগের বিষয়। আর, এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ রীতিমতো বিপজ্জনক। ওই প্রতিবেদনে সিয়াটলের পাশাপাশি হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে 'হিন্দুফোবিয়ার আড়ত' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পাঞ্চজন্যের প্রতিবেদনটি জানিয়েছে, এসব করে যাঁরা ভাবছেন যে ভারত আবার ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হবে, তাঁরা আসলে গভীর ঘুমের মধ্যে রয়েছেন। একইসঙ্গে পাঞ্চজন্যতে বলা হয়েছে, হিন্দুবিরোধী মনোভাবের এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বিপজ্জনক। কারণ, বহু ভারতীয় বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র এই সব প্রতিষ্ঠান আয়োজিত সেমিনার এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

RSS USA Hindu