ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে সঙ্ঘ পরিবার। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে চলেছে বিরোধীরা। এবার কার্যত বিরোধীদের সেই অভিযোগেই যেন সিলমোহর দিয়ে বসলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সংঘের সংবাদপত্র অর্গানাইজার ও পাঞ্চজন্যয় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ভাগবত বলেছেন, ভারত একটি 'হিন্দু রাষ্ট্র'। এটা ছাড়া আর সব কিছুই বদলে যেতে পারে। ওই সাক্ষাৎকারে ভাগবত 'হিন্দু আগ্রাসন'-এর পক্ষেও সওয়াল করেছেন। পাশাপাশি, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে তাদের 'আধিপত্যের অলঙ্কার' পরিত্যাগ করতে বলেছেন।
ঠিক কী বলেছেন আরএসএস প্রধান? তিনি বলেছেন, 'কখনও কখনও পরিস্থিতি আপনাকে দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। আমরা একটি অপরিকল্পিত বাঁক নিতে পারি। কিন্তু, আমাদের দিক কখনও হারাবে না। দিক একই থাকবে। সেটা হল- হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র।' সরসঙ্ঘচালক জানান, সাম্প্রতিক বছরে সঙ্ঘের বেশ কয়েকটি পরিবর্তন ঘটেছে। তার ইউনিফর্মে বদল এসেছে। কার্যকলাপে বদল এসেছে। সঙ্ঘের সদস্যরা সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে ভাগবত এই সব বিবৃতি দিয়েছেন। ফলে, এটা যে সঙ্ঘের নির্বাচনী ভাবনারও প্রকাশ, তা বুঝতে আর কারও অসুবিধা হয়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সঙ্ঘ পরিবার উন্নয়ন না চিরাচরিত হিন্দুত্ববাদের সম্পদ নিয়ে পথ হাঁটবে? এই প্রশ্নেরও যেন মীমংসা হয়ে গিয়েছে ভাগবতের সাক্ষাৎকারে। যেখানে সরসঙ্ঘচালক বলেছেন, 'হিন্দুরা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে লিপ্ত। যাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত, তাঁদের পক্ষে আক্রমণাত্মক হওয়াই স্বাভাবিক।'
আরও পড়ুন- লক্ষ্য বিধানসভা, জাতীয় স্বার্থে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের হাত ধরল সিপিএম, বামসঙ্গী তিপরা মোথাও
হিন্দুত্ববাদকে এভাবে খোলাখুলি সমর্থন করার সঙ্গেই ভাগবত তীব্র আক্রমণ হেনেছেন মুসলিম সম্প্রদায়কে। কার্যত খোঁচা মারা বা উসকে দেওয়ার মত কথা তিনি বলেছেন। ভাগবত মন্তব্য করেছেন, 'আজ ভারতে বসবাসরত মুসলমানদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। ইসলামের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু, একইসঙ্গে মুসলমানদের অবশ্যই তাঁদের আধিপত্যের দাম্ভিক বাগাড়ম্বর পরিত্যাগ করতে হবে।'
Read full story in English