সংরক্ষণের সুবিধা শুধু হিন্দু দলিতরাই কেন পাবে? কেন মুসলিম এবং খ্রিস্টান দলিতরা পাবে না? এই দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু, অহিন্দুদের সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার বিরোধী আরএসএস বরাবর এই দাবির বিরোধিতা করে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কেজি বালাকৃষ্ণন কমিটি দলিত মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের জন্য সংরক্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা করছে। তা-ও লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। তার মধ্যেও কার্যত দলিত মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সংরক্ষণের আওতায় আনার বিরোধিতা করতে চলেছে আরএসএস।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) গণসংযোগ শাখা বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্র নয়ডায় তফসিলি জাতি (এসসি)-র সদস্যদের নিয়ে দু'দিনের একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। আলোচনার বিষয়বস্তু, মুসলিম এবং খ্রিস্টান দলিতদের কি সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া উচিত? অতীতে সংঘ বরাবর অহিন্দু দলিতদের সংরক্ষণের বিরোধিতা করে এসেছে।
ধর্মান্তরিত আদিবাসীদের সংরক্ষণের বিরোধিতাও করেছে সংঘ। বর্তমানে দেশে সংরক্ষণের সুবিধা পান কেবলমাত্র দলিত হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখরা। বাকি কোনও সম্প্রদায় পায় না। বিশেষ করে দলিত মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা তো নয়ই। এই পরিস্থিতিতেই দলিত মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব বিবেচনা করছে বালাকৃষ্ণন কমিটি।
আরও পড়ুন- সিবিআই হেফাজতে সিসোদিয়া, মুখ ফেরাল সুপ্রিম কোর্টও, সরকার থেকে পদত্যাগ মণীশ-সত্যেন্দ্রর
কার্যত কমিটির মতামতের বিরুদ্ধে পালটা জনমত গড়ে তুলতেই ৪ মার্চ থেকে দু'দিনের সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন আরএসএস নেতৃত্ব। গৌতম বুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গ্রেটার নয়ডায় এই সম্মেলন হবে। সূত্রের খবর, দলিত মুসলিম এবং দলিত খ্রিস্টানদের সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার বিরুদ্ধে জনমতকে শক্তিশালী করতে এই সম্মেলনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে রাখছেন আরএসএস নেতৃত্ব।
সম্মেলনে বেছে বেছে রাখা হচ্ছে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং এমনকী কিছু প্রাক্তন কূটনীতিককেও। এই সম্মেলনের আয়োজক প্রবেশ চৌধুরি জানিয়েছেন, দেশের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ মনে করেন, হিন্দু দলিতদেরই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া উচিত। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।