নিরামিষ খেতে হবে না। সেটা এদেশে নিষিদ্ধ করা সম্ভবও না। কিন্তু, গোমাংসটা এড়িয়ে চলা উচিত। বুধবার দেশরে বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করে নিয়ে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বৌদ্ধিক বিভাগের প্রধান জে নন্দকুমার। আরএসএসের শাখা 'প্রজ্ঞা প্রভা'র প্রধান নন্দকুমার একইসঙ্গে অবশ্য জানিয়েছেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে সংঘের মতামতের কোনও সম্পর্ক নেই।
"দেশের বৈচিত্র্য উদযাপন" করতে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে গুয়াহাটিতে 'লোকমন্থন' নামে বুদ্ধিজীবীদের তিন দিনের একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে আরএসএস। তারই ঘোষণার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নন্দকুমার। তিনি জানান, সংঘের ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। সম্মেলনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
কুমার জানান, ''দেশের শত্রুরা দেশের ঐক্যের বিরুদ্ধে অশুভ প্রচার চালাচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে, তাই আমরা আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করতে বৈচিত্র্য উদযাপন করব।” এই সব কথা বলতে গিয়েই খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে মুখ খোলেন জে নন্দকুমার। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ আমিষ জাতীয় খাবার খায়। এটা ভারতে নিষিদ্ধ বলা যাবে না। জলবায়ু পরিস্থিতি এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুসারে, লোকেরা এই জাতীয় খাবার খান। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লোকজন আমিষ খান। তাঁদের কাছে আমিষটা অন্যতম প্রধান খাদ্য।"
আরও পড়ুন- বাড়ি খালি করতে হবে স্বামীকে, সময় বেঁধে দিয়ে জানাল আদালত
এই প্রসঙ্গেই গোমাংস ইস্যুতেও মুখ খোলেন আরএসএসের বৌদ্ধিক শাখার প্রধান। প্রথাগত কারণ এবং বৈজ্ঞানিক কারণ- দুটো কারণেই দেশবাসীর গোমাংস খাওয়া এড়ানো উচিত। কুমার জানিয়েছেন, সংঘের এই তিন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে উপস্থিত থাকবেন। হোসাবলেই সমাপ্তি ভাষণ দেবেন।
এর আগে বারবার সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গোমাংস ইস্যুতে সরব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোরক্ষকদের হাতে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পাশাপাশি, বিরোধীরা দাবি করেছেন, কে কোন খাবার খাবেন, তা আরএসএস বা সংঘ পরিবার ঠিক করে দিতে পারে না। সেই বিতর্কের মধ্যেই ফের গোমাংস ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করলেন আরএসএসের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা।
Read full story in English