ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অভ্যন্তরে স্পিকার একটি ঘর নামাজের জন্য বরাদ্দ করেছেন। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিবাদে মুখর বিজেপি। অবিলম্বে ওই ছাড়পত্রের প্রত্যাহার, নয়তো বিধানসভার অন্দরের মন্দির সহ অন্যন্য ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরিরও ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদকে কেন্দ্রকে বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে হৈচৈ হয়। যার জেরে অধঘিবেশন সাময়িক মুলতুবি করে দেওয়া দেন স্পিকার।
এ দিন শুরুতেই হুনুমান চল্লিশা হাতে বিধানসভায় আসেন পদ্ম বিধায়করা। বিধানসভার সিঁডিতে বসে পড়ে হুনুমান চল্লিশা পাঠ করতে থাকেন তাঁরা। সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ভগবানের নাম লেখা প্ল্যাকার্ডও প্রদর্শন করা হয়। এরপর অধিবেশন শুরু হলে শুরুতেই ওয়েলে নেমে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। নমাজের জন্য ঘর বরাদ্দের ঘোষণা স্পিকারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। চলতে থাকে তুমুব হইহট্টগোল।
আরও পড়ুন- ‘ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে’, ট্রাইবুনালে নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা
এর মাঝেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহত উত্তেজিত বিজেপি বিধায়কদের শান্ত হতে আর্জি জানান। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারী বিধায়করা। উল্টে বিক্ষোভের মাত্রা বাড়ান তাঁরা। এরপরই সাময়িক মুলতুবি করে দেওয়া হয় বিধানসভার অধিবেশন।
রাজ্য বিধানসভার নতুন ভবনের টিডব্লু ৩৪৮ নম্বর রুমে নামাজ পড়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন স্পিকার মাহত। যা মানতে রাজি নয় বিজেপি। গেরুয়া বিধায়কদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, মুসলমানদের জন্য এত আয়োজন হলে হিন্দুদের হনুমান চালিশা পাঠের জন্যও পৃথক ঘর প্রয়োজন। এক বিজেপি বিধায়কের যুক্তি, ‘যদি মুসলিমরা আলাদা ঘরে নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে হনুমান চালিশা পাঠের জন্য হিন্দুরা ঘর পাবেন না কেন? আমি বিধানসভার সচিবের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, একটি বড় হল বা পাঁচটি ঘর হনুমান চালিশা পাঠের জন্য বরাদ্দ করা হোক।’ বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিপি সিংও জানিয়েছেন, ‘আমি নামাজ পাঠের বিরোধী নই। তবে সেখানে অবশ্যই হনুমান মন্দির তৈরি করতে হবে।’
Read in English
ন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন