কলকাতা পুরসভার পুরবোর্ডের প্রশাসক তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, এবারও কলকাতা ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়াই করে জয় পেয়েছেন। তাহলে কী কলকাতার তৃতীয় তৃণমূল পুবোর্ডের মেয়র তিনিই? দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও জয়ী কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
সুব্রত মুখার্জী, শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে ফিরহাদ হাকিম- তৃমূলের পুরবোর্ড প্রতিবারই মেয়র পারিষদের দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস কুমার। একুশের ভোট রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু, পুরসভায় যে ক'জন পুরনো মুখে ভরসা রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মধ্যে অন্যতম দেবাশিস কুমার। এবার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয় পেয়েছেন তিনি।
প্রায় ৮ হাজার ভোটে ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তারক সিং। গত পুরবোর্ডে নিকাশী বিভাগের মেয়র পারিষদ ছিলেন তারক সিং।
৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ষষ্ঠবারের জন্য জয়ী দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মালা রায়।
আবারও কলকাতার ছোট লালবাড়িতে দেখা যাবে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা পরেশ পালকে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেলেন বেলেঘাটার বিধায়ক।
৮১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তণমূলের জুইঁ বিশ্বাস। শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাড়ির পাশাপাশি এলাকা ছেড়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দেখভাল করেছেন শোভন-জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায়। তারই ফল পেলেন রত্না। প্রথমবার লড়াই করেই জিতলেন এই ওয়ার্ড থেকে।
গড় ধরে রাখলেন মীনাদেবী পুরোহিত। ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ষষ্ঠবারের জন্য জয়ী এই বিজেপি প্রার্থীর। প্রথমবার পুরভোটে দাঁড়িয়েই ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী বিজেপির সজল ঘোষ।
৪৫ নম্বর ওয়ার্ড মানেই কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক। ভোটের দিন ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল এই কেন্দ্রে। উঠেছিল ভোট লুঠের অভিযোগ। তবে, সেসব ছাপিয়ে এই কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী। কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে ফের উড়ল লাল আবীর। জয়ী সিপিআই প্রার্থী মধুচ্ছন্দা দেবকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেল নেতা কর্মীদের মধ্য়ে।