আরও পড়ুন: শোভন চাইলে আমি হাসিমুখে সরে যাব: রত্না
ঠিক কী বলেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘সংগঠন চালানোর জন্য উনি খুব ভাল। সংগঠন চালানোর গুণগুলো ভাল’’। এরপরই অবশ্য মমতাকে বিঁধে রূপা বলেছেন, ‘‘তবে উনি প্রশাসক হিসেবে ভাল নয়। ভাল প্রশাসক হতে গেলে পক্ষপাতহীন হতে হয়। কিন্তু সেখানে বারবার পক্ষপাতদুষ্টের প্রমাণ দিয়েছেন। অন্যায়ের সঙ্গে থেকেছেন। এটা ওঁর ভুল হয়ে গিয়েছে’’।
আরও পড়ুন: শোভন একদমই নিস্তেজ নয়, মনে হয় না রাজনৈতিক শোকবার্তা লেখার সময় এসেছে: বৈশাখী
মমতা বাহিনীর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন রূপা। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘দিদিকে বলো কর্মসূচি খারাপ ছিল না। বিরোধী হলেই সব খারাপ দেখতে হবে, এটা বিশ্বাস করি না। প্রচেষ্টা খারাপ ছিল না’’। এরপরই বিরোধী নেত্রী রূপার মন্তব্য, ‘‘তবে এতে উনি সফল হবেন না। উনি যদি প্রথম থেকে যা করেছেন, যেভাবে কাজ করেছেন, সেটা যদি না হত, তাহলে এই পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হত না। উনি যদি প্রথম দিন থেকে দলের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন, তাহলে এদিন আসত না’’।
আরও পড়ুন: মমতা প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে গোপন বোঝাপড়া করছেন, বিস্ফোরক মুকুল
অন্যদিকে, রবীন্দ্রভারতীতে বসন্তোৎসব বিতর্কে মমতাকেই কাঠগড়ায় তুলে রূপা বলেছেন, ‘‘এটা লজ্জার ঘটনা। এজন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রীই। আমার পরিবারের লোকেরা ওঁকে ভোট দিয়েছিল। আমার মাও নাকি ওঁকে ভোট দিয়েছেন। শিক্ষিত সমাজের লোকেরা ভোট দিয়েছেন। সিপিএমকে হঠিয়ে ওঁকে অনেক বিশ্বাস করে আনা হয়েছিল। আমার তো এখন সেই সমাজকে প্রশ্ন, বোঝান ওঁকে, উনি কারও কথা শোনেন না? নাকি উনি তোষামোদ করতেই ব্যস্ত’’। এরপরই তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নাম নিয়ে রূপা বলেন, ‘‘এখন তো এসব বুদ্ধি দেওয়ার জন্য প্রশান্ত কিশোরকে লাগে’’।
তবে প্রশান্ত কিশোরকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মমতা সরকারের সঙ্গে একমত রূপা। এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ‘‘ঠিকই করেছেন। উনি (পিকে) বাইরের রাজ্যের মানুষ। সে দেওয়াই উচিত’’।
উল্লেখ্য, সামনে পুরভোট, তারপর একুশের মেগা ফাইনাল। এই সন্ধিক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে প্রশংসা ও সমালোচনা করলেন বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, তা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন